বিধিমালা হচ্ছে নতুন হাট ও বাজার স্থাপনে
নতুন হাট ও বাজার ব্যবস্থাপনায় বিধিমালা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে ‘হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিধিমালা, ২০২৪’ চূড়ান্ত করতে সভা হয়।
ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সচিব বলেন, স্থানীয় শাসন শক্তিশালীকরণ ও স্থানীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়েই সরকার হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিধিমালা প্রণয়ন করছে। কল্যাণমুখী স্মার্ট স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নতুন হাট-বাজার বিধিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
খলিলুর রহমান বলেন, হাটবাজার বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। প্রান্তিক কৃষক ও সীমিত পুঁজির ব্যবসায়ীরাও যাতে হাটবাজার কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
সভায় জানানো হয়, বিধিমালার খসড়ায় হাট-বাজার থেকে প্রাপ্ত ইজারালব্ধ অর্থের ৪ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয়ের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাকি ৫ শতাংশ অর্থ সেলামিসরূপ সরাসরি কেন্দ্রীয় রাজস্বে যুক্ত হবে। হাট ও বাজারের ইজারালব্ধ অর্থের বাকি ৯১ শতাংশ হাট ও বাজার সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, হাট-বাজারের উন্নয়ন এবং স্থানীয় সরকারের রাজস্ব আয় ইত্যাদি। এছাড়া, হাট ও বাজারের পেরিফেরিভুক্ত সরকারি খাসজমিতে বহুতল বিশিষ্ট বিপনীবিতান নির্মাণের বিধানও রাখা হয়েছে খসড়া বিধিতে।
হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, এ বিধিমালা করা হচ্ছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে মোট হাট-বাজার সংখ্যা ১০ হাজার ২৬৫টি। এর মধ্যে ৭ হাজার ৯৫৫টি ইজারাকৃত হাট ও বাজার থেকে প্রায় ৯৯০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়।
সভায় স্থানীয় সরকার, বাণিজ্য, অর্থ, কৃষি, আইন, মুক্তিযুদ্ধ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/জেডএইচ/এএসএম
