বস্তির বঞ্চনাও দমাতে পারেনি তাকে
বলিউডের অতি পরিচিত নাম সঞ্জয় লীলা বানসালি। গুণী এই মানুষটির জন্মদিন আজ। ১৯৬৩ সালের এই দিনে জন্ম তার। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
জনপ্রিয় এই নির্মাতা এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছিলেন তার শৈশব নিয়ে।
-
তার ছবিতে এত ঝলমলে সেট কেন থাকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্মৃতিচারণা করেছিলেন শৈশবের দুঃখ, বঞ্চনা আর দারিদ্র্যে ভরা জীবনের কথা।
-
বানসালি বলেছিলেন, খুব ছোট্ট একটা ছাপোষা ঘরে থাকতাম। দেয়ালে তখন রং করানোর মতো টাকাও ছিল না। যেন শ্বাস নিতে সমস্যা হতো। মা খুব ভালো নৃত্যশিল্পী ছিলেন। ওই ছোট ঘরেই মাকে নাচতে দেখতাম। পরার মতো আমাদের কোনো ভালো পোশাক ছিল না।
-
শৈশবে অনেক জিনিস থেকেই বঞ্চিত হয়েছি। আর মন থেকে আমি সব সময়ই একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলাম।
-
ছোটবেলায় যখন ঘরে বসে হোমওয়ার্ক করতাম, বসে বসে ভাবতাম ওই দেয়ালটায় কোন রং করলে ভালো লাগবে।
-
চারপাশে এতটাই সৌন্দর্যের অভাব বোধ করতাম যে সে সময় থেকেই সৌন্দর্যের প্রতি একটা আলাদা ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেটাই আমার সিনেমায় প্রতিফলিত হয়। এই যেমন ধরুন আমার সেট ডিজাইনিংয়ে। এত বিশালাকার, ঝকঝকে সেটের ধারণা শৈশবের সেই অভাব বোধ থেকেই তৈরি হয়েছে।
-
শুধু তা–ই নয়, জনপ্রিয় এই নির্মাতা মনে করেন, প্রত্যেক শিল্পীরই জীবনে কোথাও না কোথাও বঞ্চনার শিকার হওয়া উচিত। সেই বঞ্চনা থেকেই শিল্পী তার সৃজনশীলতার খোঁজ পান।
-
সিনেমা নির্মাণের জন্য ভারতের পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়ালেখা করেন বানসালি। রঙিন দুনিয়ায় তার পথচলা শুরু হয় বলিউডের প্রভাবশালী পরিচালক ও প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়ার সহকারী হিসেবে। কাজ করেন ‘পারিন্দা’ ও ‘১৯৪২: আ লাভ স্টোরি’ সিনেমাতে।
-
এরপর বানসালি নিজেই নেমে যান পরিচালনায়। ১৯৯৬ সালে তিনি বানান ‘খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল’।
-
প্রথম ছবি বক্স অফিসে খুব একটা ভালো করেনি। তবে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়।
-
১৯৯৯ সালে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মৈত্রেয়ী দেবীর জীবনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানান ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। এই ছবিটি তাকে বলিউডে যে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে তারপর আর পেছন ফেরে তাকাতে হয়নি তাকে।
-
প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে তার জনপ্রিয়তা।