পাগলু থেকে মিতিন মাসি, ভিন্ন গল্পে একটিই নায়িকা
কিছু নাম সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে একরকম অনুভূতিতে রূপ নেয়। বাংলা সিনেমায় কোয়েল মল্লিক ঠিক তেমনই একটি নাম। ‘পাগলু’র দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমিকা থেকে শুরু করে ‘মিতিন মাসি’র সাহসী গোয়েন্দা; ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন গল্পে নিজেকে বারবার নতুন করে আবিষ্কার করেছেন তিনি। অথচ প্রতিটি চরিত্রেই থেকেছেন প্রাণবন্ত। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
আজ তার জন্মদিন। ১৯৮২ সালের এই দিনে কলকাতায় জন্ম তার। কোয়েলের বাবা রঞ্জিত মল্লিক বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, আর মা দীপা মল্লিক সংস্কৃতিমনা এক পরিবার থেকে উঠে আসা এক পরিপূর্ণ গৃহিণী।
-
ছোটবেলা থেকেই অভিনয় আর সিনেমার পরিবেশে বড় হওয়া কোয়েল সিনেমা জগতে আসবেন, সেটা যেন ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে শুধু তারকাকন্যা হিসেবেই নয়, নিজের দক্ষতা, পরিশ্রম ও মেধার গুণেই তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলা সিনেমার অন্যতম নির্ভরযোগ্য মুখ।
-
২০০৩ সালে ‘নাটের গুরু’ দিয়ে যাত্রা শুরু। তারপরে ‘বাজিমাত’, ‘পাগলু’, ‘মন মানে না’, ‘হেমলক সোসাইটি’র মতো ছবিতে তিনি শুধু নায়িকা হয়ে থাকেননি, হয়ে উঠেছেন গল্পের প্রাণ।
-
প্রেম, আবেগ, হাসি, কান্না-সব অনুভূতির মিশেলে দর্শকের কাছে কোয়েল হয়ে উঠেছেন ঘরের মেয়ে, চেনা মুখ।
-
‘পাগলু’র কথা উঠলে আজও অনেকের মনে পড়ে সেই ছটফটে, প্রাণচঞ্চল মেয়েটির কথা, যে ভালবাসার জন্য গোটা শহর মাথায় তুলে নেয়। আবার ‘হেমলক সোসাইটি’র অসাধারণ অভিনয়ে তিনি যেন জীবন ও মৃত্যুর সূক্ষ্ম দোলাচলে দর্শককে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।
-
তবে কোয়েল থেমে থাকেননি শুধু রোম্যান্টিক ঘরানায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন। সেই বদলের সবচেয়ে বড় উদাহরণ ‘মিতিন মাসি’। গোয়েন্দা চরিত্রে একেবারে আলাদা রকমের এক দৃঢ়, চিন্তাশীল নারীর রূপ দিলেন তিনি।
-
এখানে নেই চিরাচরিত গ্ল্যামারাস সাজ, নেই বডি ল্যাঙ্গুয়েজে অতিরিক্ত কিছু। আছেন শুধুই অভিনয়, নির্ভার উপস্থিতি আর চরিত্রের গভীরে পৌঁছানোর চেষ্টা।
-
কোয়েল বারবার প্রমাণ করেছেন, তিনি শুধু স্টার কিড নন, তিনি নিজে এক পূর্ণাঙ্গ তারকা।