সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবেও এক অনুপ্রেরণা সামান্থা

১৯৮৭ সালের এই দিনে ভারতের চেন্নাইয়ে জন্ম তার।

সামান্থার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল তেলেগু সিনেমার মাধ্যমে। ‘ওয়ে মায়া চেসাবে’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তিনি দর্শকদের কাছে এক নতুন রকমের নায়িকা হিসেবে পরিচিত হন।

শুধু রোমান্স বা মিষ্টি চরিত্রের মধ্যেই থেমে থাকেননি তিনি। ‘উন্তি রুপা রূপি’ থেকে শুরু করে ‘পুষ্পা’ সিনেমায় তার শক্তিশালী চরিত্র-সব কিছুতেই তিনি নিজেকে ভাঙতে পেরেছেন।

কেবল অভিনয় নয়, সামান্থা তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও অনুপ্রেরণা হিসেবে পরিচিত। তার সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন দাতব্য উদ্যোগ তাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।

‘সামান্থা রুথ প্রভু ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করে তিনি শিশুদের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ শুরু করেন।

নারী শক্তি, শিশুদের অধিকার এবং সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য তিনি সব সময় এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

সামান্থার জীবনে এমন কিছু অধ্যায় এসেছে, যেগুলো তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল। বিশেষ করে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অনেক ভেঙ্গে পরেছিলেন তিনি। তবে সবসময়ই শক্তি এবং সাহসিকতা দিয়ে এগিয়ে গেছেন এই নায়িকা।

অভিনেত্রীর অবিচল দৃঢ়তা তাকে এমন এক চরিত্রে পরিণত করেছে যা শুধু সিনেমার পর্দাতেই নয়, বাস্তব জীবনেও প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু অভিনয়ই নয়, ফিটনেসের প্রতি তার আবেগ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা খুবই প্রশংসনীয়।

যোগব্যায়াম, মডার্ন ডান্স এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপে তিনি সব সময়ই সক্রিয় থাকেন। তার এই জীবনযাত্রার ধরন আমাদের শেখায় কিভাবে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।

সামান্থা শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রী নন, একজন শক্তিশালী নারী; যিনি তার সংগ্রাম, সাহস এবং সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে আমাদের জীবনে উদ্দীপনা জোগান।

সিনেমার পর্দায় সামান্থার চরিত্রের মতো বাস্তব জীবনেও তিনি আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তার জীবন যাত্রা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং মানবিকতা; সবকিছুই আমাদের শেখায় কিভাবে এক নতুন জীবনের সন্ধান করতে হয়।