সালমান ইউসুফ খান: নৃত্য, সাহস ও সাফল্যের প্রতীক
ভারতের বিনোদন জগতে যাদের আত্মপ্রকাশ একেবারেই সাধারণ ছিল না, সালমান ইউসুফ খান তাদেরই একজন। নাচকে ভালোবেসে যিনি তৈরি করেছেন এক অনন্য পরিচয়, সাহসকে সঙ্গী করে টপকে গেছেন জনপ্রিয়তার শিখরে, আর আজ তিনি কেবল একজন কোরিওগ্রাফার বা পারফর্মার নন এক অনুপ্রেরণা। জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক তার জীবন ও সংগ্রামের গল্প। লেখা: জান্নাত শ্রাবণী; ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
১৯৮৫ সালের এই দিনে ভারতের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তবে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা মূলত একাডেমিক সাফল্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন সালমান। কিন্তু মনের গভীরে লুকিয়ে ছিল অন্য স্বপ্ন ‘নাচের স্বপ্ন’। আর সে স্বপ্নই তাকে নিয়ে আসে মুম্বাইয়ের মঞ্চে।
-
২০০৯ সালে ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’ এর প্রথম সিজনে অংশ নিয়ে রাতারাতি পরিচিতি পান সালমান। মেন্টর ছিলেন রেমো ডি’সুজা। অসাধারণ পারফরম্যান্স আর ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্বের জোরে তিনি সেই শোয়ের বিজয়ী হন। এই বিজয় শুধু একটি ট্রফি অর্জন নয়, বরং বলিউডে তার শক্ত অবস্থানের সূচনা।
-
এরপর একের পর এক রিয়েলিটি শো, যেমন-‘ঝলক দিখলা যা’, ‘নাচ বলিয়ে’, ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’ ইত্যাদিতে পারফর্ম ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করে নেন। একজন ড্যান্সার হিসেবে যেমন পরিচিতি তৈরি করেন, তেমনি কোরিওগ্রাফার হিসেবেও বলিউডের নানা মিউজিক ভিডিও এবং সিনেমায় কাজ করে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
-
২০১৩ সালে সালমান ইউসুফ খান বলিউডে অভিষেক করেন রেমো ডি’সুজা পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘এবিসিডি: এনি বডি কেন ডান্স’ এর মাধ্যমে। এ ছবিতে তার সহশিল্পী ছিলেন প্রভু দেবা, ধর্মেশ, লরেন গটলিয়েব প্রমুখ। পরবর্তী সময়ে ‘এবিসিডি ২’সহ আরও অনেক ছবিতে দেখা গেছে তাকে।
-
শুধু নাচ নয়, সালমান ইউসুফ খান বরাবরই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি সিজন ১০’-এ অংশগ্রহণ করে অ্যাকশন এবং ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জে নিজের দৃঢ় মনোবল ও সাহসিকতা দেখান।
-
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি সালমানের ব্যক্তিজীবনও বেশ স্থিতিশীল। তিনি বিয়ে করেন দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রেমিকা ফাইজা হারমাইনকে। দুজনের ভালোবাসা ও বন্ধন আজও অটুট। তাদের সংসারে রয়েছে একটি পুত্রসন্তান।