পর্দায় নীরব, লাস্যময়ী ছবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতে দক্ষ দিশা

১৯৯২ সালের এই দিনে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারেলির রাজপুত পরিবারে জন্ম তার। দিশার বাবা জগদীশ সিং পাটানি একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা একজন স্বাস্থ্যকর্মী।

ছোটবেলা থেকেই চুপচাপ স্বভাবের হলেও নিজেকে প্রকাশ করার সহজ উপায় হিসেবে বেছে নেন পারফরমিং আর্টসকে। দিশা প্রথমে চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। পড়াশোনা করেন অমিটি ইউনিভার্সিটি, লখনউ-তে, বায়োটেকনোলজিতে। কিন্তু তার সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব খুব অল্প সময়ে নজর কাড়ে বিজ্ঞাপন জগতের। এরপরই শুরু হয় মডেলিং ক্যারিয়ার।

২০১৫ সালে দিশা অভিনয় করেন তেলেগু ছবি ‘লোফার’ এ, যেটি ছিল তার অভিনয় জীবন শুরু করার প্রথম ধাপ। তবে হিন্দি সিনেমায় তিনি আত্মপ্রকাশ করেন ২০১৬ সালে ‘এম এস ধোনি: দ্যা আনটোল্ড স্টোরি’ ছবির মাধ্যমে। সুশান্ত সিং রাজপুতের বিপরীতে ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তার উপস্থিতি দর্শকের মনে জায়গা করে নেয়। ছবিটি বক্স অফিস হিট হয়, আর দিশার প্রতি দর্শকের আগ্রহ বাড়ে।

পরবর্তী সময়ে তিনি অভিনয় করেন ‘বাঘি ২’, ‘মালাং’, ‘রাধে’ ইত্যাদি ছবিতে। তবে এদের অনেকটাই ছিল হিরো কেন্দ্রিক ছবি, যেখানে দিশা মূলত গ্ল্যামার আর স্ক্রিন প্রেজেন্স দিয়েই নজর কেড়েছেন।

চলচ্চিত্র জগতে দিশার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তার প্রায় প্রতিটি পোস্ট ঘিরেই তৈরি হয় হেডলাইন। স্বল্পবসনা ছবির জন্য যেমন প্রশংসা পান, তেমনি সমালোচনাও আসে। কিন্তু দিশা কখনও থেমে থাকেননি।

খোলামেলা পোশাক, বিকিনি ফটোশুট, জিম ওয়ার্কআউট ভিডিও কিংবা নতুন কোনো ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রোমো-সবকিছুতেই দিশার আত্মবিশ্বাস, ক্যামেরা সেন্স ও স্টাইল নজর কাড়ে।