স্টাইল ও সংবেদনশীলতার প্রতিচ্ছবি অ্যান্ডি ম্যাকডোয়েল
হলিউডের ইতিহাসে এমন কিছু মুখ আছে যাদের উপস্থিতি যেন পর্দায় এক ধরণের শান্ত সুর বয়ে আনে। চিৎকার নয়, প্রখর আলো নয়; তাদের সৌন্দর্য এবং অভিনয় যেন নিজের মাধুর্যেই জেগে ওঠে। তেমনই এক অনন্য নাম অ্যান্ডি ম্যাকডোয়েল। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
ক্লাসিক সৌন্দর্য, সংবেদনশীল অভিনয় এবং আভিজাত্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী অ্যান্ডি ম্যাকডোয়েলের জন্মদিন আজ।
-
১৯৫৮ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের মনোরম শহর গাফনি, সাউথ ক্যারোলিনাতে জন্ম তার।
-
অভিনেত্রীর পুরো নাম রোজালি অ্যান্ডারসন ম্যাকডোয়েল। তবে তিনি বেশি পরিচিত অ্যান্ডি ম্যাকডোয়েল নামে।
-
কৈশোরেই মডেলিংয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য, কার্লি চুল আর স্নিগ্ধ উপস্থিতি তাকে পরিচিত করে তোলে এলিট মডেলস, ভোগ এবং লোরিয়ালের মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মুখ হিসেবে।
-
১৯৮৪ সালে ‘গ্রেস্টোক: দ্য লিজেন্ড অব টারজান, লর্ড অব দ্য এপস’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হলেও, সিনেমাটিতে তার ডায়লগ অন্য একজন দিয়ে ডাব করা হয়। তবে এতে দমে যাননি তিনি। বরং এই অভিজ্ঞতা তাকে আরও প্রস্তুত করে তোলে।
-
১৯৮৯ সালে ‘সেক্স, লাইস অ্যান্ড ভিডিওটেপ’ দিয়ে তার ক্যারিয়ার নতুন মোড় নেয়। স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত এই স্বাধীন চলচ্চিত্রটি কেবল ক্যানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জয়ীই হয়নি, বরং অ্যান্ডিকেও এনে দেয় ‘গোল্ডেন গ্লোব’ এর মনোনয়ন।
-
শুধু অভিনয় নয়, স্টাইল ও আত্মবিশ্বাস-এই দুটি শব্দ অ্যান্ডিকে সংজ্ঞায়িত করে। বয়স যতই হোক, অ্যান্ডি ম্যাকডোয়েল বরাবরই আত্মপ্রত্যয়ী এবং স্বচ্ছন্দ।
-
বয়সভিত্তিক সৌন্দর্য ধারণাকে তিনি চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নিজের প্রাকৃতিক ধূসর চুল নিয়ে উপস্থিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। তার মতে, ‘বয়স ছাপ নয়, আত্মবিশ্বাসই সৌন্দর্যের মূল’।
-
অ্যান্ডি শুধু চলচ্চিত্র জগতেই নয়, নারীর আত্মমর্যাদা, স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক সৌন্দর্য নিয়ে সামাজিক বার্তাও দিয়েছেন বারবার। বডি ইমেজ বা স্কিন কালার নিয়ে সমাজে প্রচলিত স্টেরিওটাইপের বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন নিজ অস্তিত্ব দিয়েই।