সৌন্দর্যের বাইরেও এক সাহসী কণ্ঠস্বরের নাম অ্যাম্বার হার্ড
হলিউডের ঝলমলে জগতে অনেকেই আসেন, কেউ হারিয়ে যান আবার কেউ থেকে যান বিতর্কের কেন্দ্রে। অ্যাম্বার হার্ড ঠিক তেমনই এক নাম, যার জীবন কেবল রূপালী পর্দার গ্ল্যামার নয়, সাহসিকতা, ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং নিরন্তর বিতর্কের এক জটিল সমন্বয়। ছবি: সংগৃহীত
-
আজ এই সাহসী অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে জন্ম তার।
-
ছোটবেলা থেকেই সাহসী ও স্পষ্টভাষী ছিলেন তিনি। কৈশোরে ক্যাথলিক ঘরানার রক্ষণশীলতা থেকে বেরিয়ে নিজের বিশ্বাসে পথ হাঁটা শুরু করেন। খুব অল্প বয়সেই তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলে আসেন মডেলিংয়ের খোঁজে, এরপর গন্তব্য হয় হলিউড।
-
২০০৪ সালে ‘ফ্রাইডে নাইট লাইটস’ সিনেমায় একটি ছোট চরিত্র দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু তার। এরপর ‘নেভার ব্যাক ডাউন’, ‘প্রিন্সিপাল এক্সপ্রেস’ এবং ‘দ্যা রুম ডাইরি’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে চিনিয়ে দেন।
-
তবে তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয় ডিসি কমিকসের ‘অ্যকোয়াম্যান’ এর মেরা চরিত্রটি।
-
অ্যাম্বার হার্ডের ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই ছিল মিডিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে তার সম্পর্ক, বিবাহ এবং পরবর্তীতে বিচ্ছেদ সবকিছুই হয়েছিল পত্রিকার হেডলাইন।
-
দুজনের মধ্যকার আইনি লড়াই ও পারস্পরিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ যেন হলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত অধ্যায় হয়ে রয়েছে।
-
এই দীর্ঘ ও জটিল লিগ্যাল ব্যাটল চলাকালে অ্যাম্বার নারীর অধিকার, গৃহস্থলীর সহিংসতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বারবার মুখ খুলেছেন।
-
এসময় তাকে নিয়েও সমালোচনা এসেছে, তার প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছেন অনেকে-তবুও তিনি নিজের অবস্থানে অবিচল ছিলেন এই নায়িকা।
-
অ্যাম্বার হার্ড শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রী নন, তিনি একজন এক্টিভিস্টও। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, অধিকার এবং ফ্রি স্পিচের পক্ষে তার অবস্থান বরাবরই ছিল স্পষ্ট।
-
তিনি ইউনাইটেড নেশনের মানবাধিকার প্রচারণার অংশ হিসেবেও কাজ করেছেন।
-
জনগণের রায়, আদালতের রায় এবং মিডিয়ার জাজমেন্ট-এই তিন জগতেই অ্যাম্বারকে লড়াই করতে হয়েছে। কেউ তাকে বলেছেন সাহসী, কেউবা মিথ্যাবাদী। কিন্তু তার ক্যারিয়ার, জনপ্রিয়তা বা পছন্দকে ছাপিয়ে তার যে দিকটি চোখে পড়ে, তা হলো- ভয়কে জয় করা সাহসী এক নারী।
-
বহু বিতর্ক আর মিডিয়া কাভারেজের পর অ্যাম্বার কিছু সময়ের জন্য লাইমলাইট থেকে দূরে সরে যান। বর্তমানে তিনি লন্ডন ও স্পেনের মাঝে সময় কাটাচ্ছেন এবং নতুন কিছু আন্তর্জাতিক প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।