শাওলিন থেকে হলিউড: জেট লির অনন্য যাত্রা

মাত্র ৮ বছর বয়সে উশু প্রশিক্ষণ শুরু করেন জেট লি। এরপর ১৯৭৪ সালে জাতীয় উশু চ্যাম্পিয়ন হন।

শাওলিন মন্দিরে তীব্র প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি মার্শাল আর্টের অনেক গোপন রহস্য শিখেছিলেন, যা পরবর্তী সময়ে তার অভিনয়ে প্রভাব ফেলে।

১৯৮২ সালে ‘শাওলিন টেম্পল’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। সিনেমাটি তাকে চীনে বিশাল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

এরপর ‘ফিস্ট অফ লিজেন্ড’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন চায়না’, ‘হিরো’, ‘লেথাল ওয়েপন ৪’, ‘দ্য ফোরবিডেন কিংডম’ এবং ‘দ্য এক্সপেন্ডেবলস’ সিরিজের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন।​

১৯৯৮ সালে ‘লেথাল ওয়েপন ৪’ সিনেমার মাধ্যমে হলিউডে পা রাখেন জেট। এখানেই শুরু হয় তার আন্তর্জাতিক খ্যাতির পথচলা।

‘লেথাল ওয়েপন ৪’ সিনেমায় তার অভিনয় সবার নজর কাড়ে এবং তাকে হলিউডের একজন অ্যাকশন স্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

পরে তিনি ‘দ্য ফোরবিডেন কিংডম’, ‘দ্য এক্সপেনডেবল ‘ এবং ‘এক্সট্রিম মেকওভার’ এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন, যা তাকে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি পরিচিতি দেয়।

বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করা এই হিরো আজ থেকে কয়েক দশক আগে ছিলেন এক সাধারণ চীনা ছেলে।

জেট লির যাত্রা শুধু অভিনয় ও অ্যাকশন সিনেমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি এক অতুলনীয় জীবন সংগ্রামের গল্প। তার জীবন শুধু বড় পর্দার কাহিনীর মতো নয়, এটি এক অনুপ্রেরণার কাহিনী যা আজও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

জেট লি শুধু একজন অ্যাকশন হিরোই নন, তিনি একজন মানবিক কাজের পৃষ্ঠপোষকও। ২০০৪ সালে তিনি ‘ফাউন্ডেশন ফর চায়না’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা চীনের দরিদ্র জনগণের সহায়তায় কাজ করে।

এছাড়াও তিনি জাতিসংঘের শান্তির দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বহু দাতব্য কর্মকাণ্ডে অংশ নেন।