ইতিহাসের এক অমলিন চরিত্র রানী এলিজাবেথ
ব্রিটিশ রাজপরিবারের এক মহীয়সী নারী রানী এলিজাবেথের জন্মদিন আজ। ১৯২৬ সালের এই দিনে লন্ডনে জন্ম তার। ছবি: সংগৃহীত
-
বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী এবং সম্মানিত শাসক হিসেবে তার নাম চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে।
-
ব্রিটেনে দীর্ঘ ৭০ বছর রাজত্ব করেছেন এলিজাবেথ। যা ইতিহাসের এক বিরল ঘটনা। তার নেতৃত্ব, ধৈর্য এবং রাজনীতির নিখুঁত সমন্বয়ে রাজতন্ত্রের ঐতিহ্য বহন করতে সক্ষম হয়েছেন।
-
রানী এলিজাবেথের শাসনকাল শুধু ব্রিটেনের ইতিহাসের নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। তিনি এমন এক সময়ের শাসক ছিলেন, যখন রাজপরিবারের অবস্থা ছিল অনিশ্চিত এবং পুরো বিশ্বের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণও দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছিল।
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন যখন পুনর্গঠন ও পুনর্জীবন লাভ করছিল তখন রানী এলিজাবেথ তার চিরন্তন দৃঢ়তার মাধ্যমে দেশকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন।
-
তিনি কখনো তার শাসনকালে স্বার্থপরতা বা ব্যক্তিগত আবেগের পরিচয় দেননি। বরং তিনি নিজের রাজকীয় দায়িত্ব পালন করেছেন নিঃস্বার্থভাবে, জনগণের জন্য এক অদম্য শক্তি হয়ে উঠেছিলেন।
-
তার শাসনকাল আধুনিক ব্রিটেনের একটি নতুন রূপ সৃষ্টি করেছে, যেখানে রাজতন্ত্র আজও সক্রিয় এবং জনগণের পাশে রয়েছে।
-
রানী এলিজাবেথ শুধু ব্রিটেনের শাসক ছিলেন না, তিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
-
তার নেতৃত্বের মাধ্যমে ব্রিটেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল, বিশেষ করে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে। সেইসঙ্গে, তার সহানুভূতিশীল এবং সহমর্মিতার মনোভাব বিশ্বের নানা সংকটে ব্রিটেনকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
-
বিশ্বের একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা, বিশেষ করে যুদ্ধ, বিপর্যয় বা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়েও তিনি কখনোই বিচলিত হননি। বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সব সময় নিজেকে কাজে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
-
তার নেতৃত্বের প্রভাব আজও বর্তমান এবং তিনি প্রমাণ করেছেন যে শাসকের দায়িত্ব শুধুমাত্র ক্ষমতা দখল নয়, বরং সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করা।