স্লোভেনিয়ার ছোট্ট শহর থেকে ওয়াশিংটনের সবচেয়ে আলোচিত নারী
স্লোভেনিয়ার সবুজ উপত্যকা আর আল্পস পাহাড়ের ছায়ায় ঘেরা ছোট্ট শহর নোভো মেস্তো। ১৯৭০ সালের ২৬ এপ্রিল সেখানে জন্ম নেন এক কন্যা শিশু, যার নাম রাখা হয় মেলানিয়া কানাভস। তখন কে-ই বা ভেবেছিল, এই মেয়েটিই একদিন হোয়াইট হাউসের ফার্স্ট লেডির আসনে বসবেন? ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
ছোটবেলায় খুব সাধারণ জীবন ছিল মেলানিয়ার। মা ছিলেন টেক্সটাইল ডিজাইনার আর বাবা একটি গাড়ি কোম্পানিতে কাজ করতেন। পরিবারের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ছোটবেলা থেকেই তার চোখে ছিল বড় স্বপ্ন; আর সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ ছিল মডেলিং।
-
১৫ বছর বয়সেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো শুরু করেন মেলানিয়া। নিজের দেশ স্লোভেনিয়াতেই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন পরিচিত মুখ। এরপর পাড়ি জমান ইউরোপের ফ্যাশন জগতে। একসময় এসে পৌঁছান নিউ ইয়র্ক শহরে, যেখানে শুরু হয় তার আন্তর্জাতিক পরিচিতি।
-
মডেলিং জীবনে যখন জনপ্রিয়তার শিখরে, তখনই ১৯৯৮ সালে এক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। দুজনের সম্পর্ক ধীরে ধীরে গভীর হতে থাকে।
-
২০০৫ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
-
২০০৬ সালে জন্ম নেয় তাদের একমাত্র পুত্র ব্যারন উইলিয়াম ট্রাম্প।
-
এরপর শুরু হয় আরও এক নতুন অধ্যায়, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গী হয়ে ওঠেন তিনি।
-
২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মেলানিয়া হন ফার্স্ট লেডি। তবে অন্য ফার্স্ট লেডিদের মতো করে খুব বেশি আলোড়ন না তুলেও তিনি নিজের একটা আলাদা ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন।
-
তার ফ্যাশন সেন্স, পরিমিত প্রকাশভঙ্গি এবং সামাজিক বিষয়ে কিছু সাহসী অবস্থান তাকে অনেকের চোখে অনন্য করে তোলে।
-
শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে তার ‘বি বেস্ট’ ক্যাম্পেইন বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।