টাঙ্গাইলে আনারসের বাম্পার ফলন
টাঙ্গাইলের মধুপুরে এবার আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে এ বছর দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। বাজারে আনারসের দামও বেশ ভালো। এতে খুশি চাষিরা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল নোমান
-
পাইকার-ক্রেতা বেশি থাকায় বাজারে প্রচুর আনারসের আমদানি থাকলেও দাম পড়েনি। গরমের কারণে এ বছর আনারসের চাহিদা বেড়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় পাহাড়ে আনারসের আবাদও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। আনারস চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
-
পাইকাররা বলছেন, মোকামগুলোর বাজার তুলনামূলকভাবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। ফলের মোকামে চাহিদা বেড়েছে। গরম বেশি থাকার কারণে চাহিদা বেশি। কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর মধুপুর গড়ে আনারসে ৭৬০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা আছে।
-
জেলায় চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ৭৯৪ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে মধুপুরে ৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৯২ হেক্টরে জলডুগি এবং ৪ হাজার ২২০ হেক্টরে ক্যালেন্ডার প্রজাতির আনারস চাষ হয়েছে। এ ছাড়া ফিলিপাইন থেকে আমদানি করা জাত এমডি-টু ১৮ হেক্টর চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন ধরা হয়েছে ক্যালেন্ডার ৩৮ মেট্রিক টন, জলডুগি ২৭ মেট্রিক টন ও এমডিটু ৩৫ মেট্রিক টন।
-
মধুপুর উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের ভেরেনা সাংমা ষাটের দশকের শেষদিকে ভারতের মেঘালয় থেকে কয়েকটি জায়ান্টকিউ জাতের আনারসের চারা আনেন। সেগুলো মধুপুর গড়ে রোপণ করেন। প্রথমবারেই ভালো ফলন হয়। খেতেও সুস্বাদু ছিল। পরে আরও বেশি জমিতে আনারস চাষ করেন। তার দেখাদেখি অন্যরাও আনারসের আবাদ করতে থাকেন। এরপর টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের মাটি আনারস চাষে উপযোগী হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আনারস চাষাবাদ। ফলন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। মধুপুরের পাশাপাশি ঘাটাইলের পাহাড়ি এলাকায় আনারস প্রচুর চাষ হয়েছে।
-
সম্প্রতি লাল মাটির আনারস জিআই পণ্য হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে খুশি চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এ আনারস এখন মধুপুরের অর্থনীতির প্রধান উৎস হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার আনারস বেচাকেনা হয়ে থাকে। প্রায় ৬ মাস কম-বেশি চলে বেচাকেনা।