পতিত জমিতে পেয়ারা চাষে সফল উদ্যোক্তারা
ফেনীর বিভিন্ন স্থানে পতিত ও অনাবাদি জমিতে পেয়ারা চাষে অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা সফল হয়েছেন। তাদের দেখাদেখি অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। ফেনীতে উৎপাদিত বারোমাসি এ ফলের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ ভালো থাকায় বাগান সৃষ্টি করতে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ১৮০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়েছে। যা থেকে অন্তত ২ হাজার মেট্রিক টন ফল পাওয়া যাবে। যার বাজারমূল্য অন্তত ৮ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ছবি: আব্দুল্লাহ আল-মামুন
-
একসময় ফেনীতে শখ করেই পেয়ারা আবাদ করা হতো। আঙিনা ও আশপাশের খালি জায়গায় শোভা পেতো পেয়ারা গাছ। সেই পেয়ারাই এখন হয়ে উঠেছে ফেনীর উদ্যোক্তাদের জন্য আশির্বাদ।
-
এখন শুধু বাড়ির আঙিনা নয়; বিভিন্ন স্থানে পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে লাগানো হয়েছে পেয়ারা গাছ। সেই গাছের পেয়ারাগুলো উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন হয়ে বাতাসের সঙ্গে দোলা খাচ্ছে। এসব পেয়ারা হাত বদল হয়ে জেলার চাহিদা পূরণ করে চলে যাচ্ছে আশপাশের জেলায়।
-
কৃষি বিভাগ জানায়, ২০১৫ সালের দিকে ফেনীতে কয়েকজন উদ্যোক্তা স্বল্প পরিসরে পেয়ারা আবাদ শুরু করেন। এতে ভালো ফলন পাওয়ায় বাণিজ্যিক আকারে আবাদ বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে জেলায় ১১৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। সেখানে ফলন হয় ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। পেয়ারার পুষ্টিগুণ, স্বাদ ও ফলন ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে পেয়ারা আবাদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮০ হেক্টরে। যা থেকে অন্তত ২ হাজার মেট্রিক টন পেয়ারা পাওয়া যাবে।
-
ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহি উদ্দিন বলেন, ‘পেয়ারা গাছ লাগানোর জন্য বেলে ও দোআঁশ মাটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী। ফেনীর বিভিন্ন পতিত স্থানে এ মাটি থাকায় স্থানীয়রা বাণিজ্যিকভাবে বারোমাসি পেয়ারা গাছ লাগিয়ে ভালো ফলন পেয়েছেন। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।’
-
ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ বলেন, ‘লাভজনক হওয়ায় ফেনীতে পেয়ারা বাগান বেড়েছে। জেলায় বর্তমানে ১৮০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা বাগান আছে। এসব বাগান থেকে উৎপাদিত পেয়ারা ফেনী জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশাপাশের জেলায়ও বাণিজ্যিকভাবে পাঠানো হচ্ছে।’