দুদু
যারা ভোটে বাধা তৈরি করছে, তারা স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে
যারা নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করছে পক্ষান্তরে তারা স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কবে হবে? এমন প্রশ্ন রেখে দুদু বলেন, স্বৈরতন্ত্রের পতন তখনই সার্থক হবে যখন গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্পন্ন হবে। যদি গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্ভব না হয়, তাহলে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যাবে। যারা আজ বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বা বাধা দিচ্ছে—তারা পক্ষান্তরে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছে।
সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রায় ১৬ বছর ধরে সংগ্রাম করছে। যারা আজ স্বৈরতন্ত্রের পতনে বিএনপির ভূমিকা খাটো করে দেখছে, তাদের বলবো এই দল যখন আন্দোলন শুরু করেছিল যাদের বয়স এখন ২৬ থেকে ২৮ তারা তখন তারা শিশু ছিল। হিসাব করলে দেখা যাবে, তাদের ভাতও মায়েরা খাইয়ে দিতেন। কিন্তু তারা যখন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে অস্বীকার করছেন তখন বুঝতেই হবে তারা অহংকারী হয়ে পড়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের একজন করে প্রতিনিধি রেখেছেন। চাঁদাবাজি হচ্ছে এটাতো আপনি জানেন। এই যে আপনি ছাত্রদেরকে আপনার মুরুব্বি বানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ বানিয়েছেন এর একটু দায় আপনারও নেওয়া উচিত।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) সমালোচনা করি, আপনি যাতে একটি ভালো নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণের সহায়তা করেন। না হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেজন্য যে কোনোভাবে, যে কোনো উপায়ে আপনাকে ডিসেম্বর টু ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আর তা যদি সম্ভব না হয়, বাংলাদেশে কোনো স্বৈরতন্ত্র কিন্তু ভালো নির্বাচন ছাড়া রেহাই পায়নি। এখনো পর্যন্ত আপনার পথ খোলা আছে। আপনি ভালো নির্বাচন দেবেন, এটা জাতি প্রত্যাশা করে, আমরাও প্রত্যাশা করি।
চাঁদাবাজদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, দল গঠন করছেন এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন, তাদের বলব, এই সময় সময় না, আরও সময় আছে। আপনাদের পরিণতি কি হবে সেটা যদি না ভাবেন, তাহলে ভুল হয়ে যাবে। এটা একবার মাথার মধ্যে নেন। এখন আপনাদের ব্যবহার করে যারা উপদেষ্টা ও ক্ষমতা ব্যবহার করছেন, তারা কিন্তু আপনাদের সেই সময়ে সহায়তা করবে না, এটাই বাস্তব।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুক্তার আকন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরসহ প্রমুখ।
কেএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস