মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২ হাজার প্রবাসী গ্রেফতার

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

হত্যা, ছিনতাই, দাঙ্গা ও বাসাবাড়িতে চুরিসহ নানা ধরনের অপরাধে সেলাংগর রাজ্যে এ বছর বিদেশি নাগরিকদের জড়িত থাকার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

সেলাংগর পুলিশ জানায়, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ১ হাজার ৯৩১ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগের বছর একই রাজ্যে অপরাধে জড়িত থাকার কারণে ২ হাজার ৯৪৩ জন বিদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

সেলাংগর পুলিশের প্রধান দাতুক শাজেলি কাহার জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককে এরই মধ্যে আদালতে তোলা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধ অনুযায়ী সাজা দেওয়া হয়েছে।

তবে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হয়নি, তাদের মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগে (জেআইএম) হস্তান্তর করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি হারিয়ান মেট্রো-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সেলাংগরে আটক অধিকাংশ বিদেশি নাগরিকই আসিয়ানভুক্ত বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা।

তিনি আরও বলেন, শিল্পাঞ্চলসমৃদ্ধ রাজ্য হওয়ায় সেলাংগর কেবল স্থানীয় শ্রমিকদের নয়, বিদেশি শ্রমিকদেরও বড় কেন্দ্র। ফলে জনঘনত্ব বাড়ছে এবং এর সঙ্গে অপরাধ ও সামাজিক সংঘাতের ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে।

তবে শাজেলি কাহার মনে করেন, সরকার নির্ধারিত বৈধ প্রক্রিয়ায় ও সম্পূর্ণ কাগজপত্রসহ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিলে এ ধরনের অপরাধ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বৈধ নথিপত্র থাকা শ্রমিকদের পরিচয় শনাক্ত করা সহজ হয় এবং কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্ত ও নজরদারিও কার্যকরভাবে করা যায়।

অবৈধভাবে প্রবেশ করা ও নথিবিহীন শ্রমিকদের কোনো রেকর্ড না থাকায় তারা অপরাধে জড়ানোর সুযোগ পায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় সমাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে তিনি সতর্ক করেন।

এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণ ও কমিউনিটিকে অবৈধ শ্রমিক নিয়োগকারী মালিকদের বিষয়ে পুলিশ, ইমিগ্রেশন বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অবহিত করার আহ্বান জানান। সমাজের মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কর্তৃপক্ষের ‘চোখ ও কান’ হিসেবে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]