বাবা-মাকে পরামর্শ দিলেন মাহবুব কবীর মিলন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ০৯ মার্চ ২০২৫

সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টাটাসের মাধ্যমে মেয়ের বাবা-মাকে সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় তিনি এ পরামর্শ দেন। লেখাটি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

‘ছোট মেয়েদের জন্য পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে আপনার চিন্তা বা সতর্কতা কতটা সিরিয়াস হতে হবে, তার মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি আব্বা আম্মারা:

১. আপনি থাকেন ফ্ল্যাট বাড়িতে, অনেক উপরের তলায়। আপনার কম বয়সী মেয়ে একা সিঁড়ি বেয়ে বা লিফটে করে উপরে ওঠে। নিচে অনেকগুলো ফ্ল্যাটে মানুষ থাকে। আপনার মেয়ে মোটেই নিরাপদ নয়। নিচের কাউকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।

২. কোচিং সেন্টারে মেয়ে পড়তে যায়। এক ব্যাচ চলে গেছে। আর এক ব্যাচ আসবে। কোচিং সেন্টার ফাঁকা। আপনার মেয়ে আগেভাগে চলে গেছে একা। সেন্টারে আছে শুধু টিচার। আপনার মেয়ে মোটেই নিরাপদ নয়। কাউকেই বিশ্বাস করা যাবে না।

৩. মেয়েকে এমন কোনো বান্ধবীর বাসায় থাকার জন্য পাঠাবেন না, যার ভাই এবং পিতা বাসায় থাকে।

৪. মেয়েকে স্কুলে এমন আগেভাগে পাঠাবেন না, যেখানে ক্লাসে বা স্কুলের কোনো জায়গায় সে একা হয়ে যায়।

৫. বিবাহিত ভাই-বোনের বাসায়ও ছোট মেয়েকে থাকার জন্য পাঠানো যাবে না, যেখানে অন্য পুরুষ বসবাস করে।

৬. লম্বা ফসলের ক্ষেত, যেখানে দাঁড়ালে দেখা যায় না, যেমন- পাট বা আখ ক্ষেত, এমন ক্ষেতের পাশ দিয়ে মেয়েকে একা যাওয়া-আসা করতে দেবেন না।

মেয়ে একা অরক্ষিত হয়ে যায় বা যেতে পারে, এমন কোনো জায়গায় পাঠানো যাবে না। একমাত্র নিজের পিতা-মাতা ছাড়া দুনিয়ার কাউকে বিশ্বাস করা যাবে না। ছোট এবং কিশোরী মেয়েকে সারাক্ষণ ট্র্যাকিংয়ে রাখুন।

কী করবেন! বিপদ হলে তো আপনাদের যাবে। আপনারা মেয়ের বাবা-মা। কারো কিছু যায়-আসবে না। বাকি জীবন মাথা কুটে মরতে হবে আপনাদের।

শুধু বলার জন্য নয়, আমি অনেক অনেক আগে থেকেই এগুলো মেইনটেইন করেছি এবং করে যাচ্ছি। আল্লাহ সহায়।
সারাক্ষণ আল্লাহর কাছে নিজের সন্তানের কল্যাণ, মঙ্গল, নেয়ামত, বরকত ও হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করুন।’

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।