ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি, ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে ১০ কোটি
আগের মত এবার আর বরিশাল এবার খেলবে না। বরিশাল না খেললে তামিম ইকবালের বিপিএল খেলা অনিশ্চিত। বিপিএলে প্রথমবারের মত নোয়াখালী দল হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাশাপাশি এবার রাজশাহীতে খেলা হচ্ছে। রাজশাহীর ভেন্যু নিশ্চিত। এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব; কিন্তু ওপরের এই তিনটি খবর প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ছে। সত্যিই তাই?
অবশেষে জানা গেল, আসল খবর। আজ মঙ্গলবার রাতেও মিটিং ছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। সেই সভা শেষের খবর, বিপিএলে এবার কয়টি দল খেলবে? কোন কোন দল অংশ নেবে? তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে অনেক ভেবে-চিন্তে আয়োজক মহল ঠিক করেছে, ৫টি দল হলে আয়োজন ও খেলা চালানো সহজ হবে। মানে আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে এবার দল কমিয়ে আনার চিন্তা।
আর প্রতিযোগী দল এখনো ঠিক হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। ওপরের অংশ পড়ে মনেই হতে পারে- আগ্রহী দল কম; কিন্তু একদম নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর- আগ্রহী দল ৭টি। সেখানে রংপুরতো আছেই। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার পক্ষ থেকেও দল নেয়ার আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে।
এরমধ্যে সর্বাধিক তিনটি আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে শুধু ঢাকার। খুলনা, রাজশাহী এমনকি বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজি হতেও দুটি করে আগ্রহী কর্পোরেট হাউস আছে বলে জানা গেছে। আর সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের দল কিনতেও একটি করে কর্পোারেট হাউজ আগ্রহী।
নোয়াখালী নামে দল কেনার খবর জানতে গিয়ে জানা গেছে আপাততঃ কোন আগ্রহী কর্পোরেট হাউজ নেই। তবে কিছুদিন আগে লন্ডন প্রবাসী এক বাংলাদেশী যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু পরে আর যোগাযোগ করেননি।
এদিকে মালিকানা ও ফ্র্যাঞ্চাইজি হওয়ার পূর্ব শর্ত ঠিক করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বিপিএল কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ২০২৫ সালের বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ত কিনতে প্রাথমিকভাবে গুনতে হবে দুই কোটি টাকা।
প্রথম বছরে ওই টাকায় ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ত কেনা সম্ভব হলেও পরের বছর আরও ১৫ ভাগ অর্থ বেশি গুনতে হবে। তবে দ্বিতীয় বছরের মালিকানা স্বত্ত থাকবে। শুধু ২ কোটি টাকায় এ বছরের ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব কেনাই শেষ কথা নয়। প্রতিটি দলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিও দেখাতে হবে।
ক্রিকেটার, কোচ, ট্রেনার তথা কোচিং স্টাফ এবং হোটেল বিল বাবদ ওই অংকের অর্থ ব্যাংকে থাকতে হবে। প্রসঙ্গতঃ গতবার বিপিএল শুধু ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফের বেতন ভাতা পরিশোধেই সমস্যা হয়নি। রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিপক্ষে হোটেল বিল পরিশোধ করতে না পারার অভিযোগও উঠেছিল।
এবার সেসব জটিলতা ও ঝামেলার উদ্রেক যাতে না ঘটে সে জন্যই সরাসরি ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে তবেই মালিকানা স্বত্ত কেনা যাবে। এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নগদ প্রাপ্তির খবরও আছে। তাহলো, টিকিট বিক্রি স্বত্ত, মিডিয়া রাইটস ও গ্রাউন্ডস রাইট বাবদ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বা বিসিবির যে পরিমাণ নেট মুনাফা হবে, তার ৩০ শতাংশ প্রতিযোগী দলগুলোর মাঝে বন্টন করে দেয়া হবে।
এআরবি/আইএইচএস/