একা ব্যাট হাতে লড়াই করছেন আফিফ

প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি করার পর বল হাতেও নৈপূণ্য দেখিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল; কিন্তু প্রয়োজনীয় সময় মানে দ্বিতীয় ইনিংসে আর কথা বলেনি তার ব্যাট। ওদিকে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও দ্বিতীয় ইনিংসে লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি।
দুই সিনিয়র কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় বিসিবি দক্ষিাণাঞ্চলের বিপক্ষে খুব বড়-সড় লিড হয়নি পূর্বাঞ্চলের। বরং উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটার জাকির হাসানের ‘বিগ হান্ড্রেডে’ প্রথম ইনিংসে ১৬৯ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায় বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল।
জাকির হাসান ১৫৮ রানের বড় ইনিংস খেলার ফলে পূর্বাঞ্চলের ২৬০ রানের জবাবে দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস শেষ করে ৪২৯ রানে। ২৭৬ বলে ১৯টি বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ওই ইনিংসটি সাজান জাকির। তার সঙ্গে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম ৭৯ বলে ১০ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৫৯ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেললে ৪০০ ছাড়িয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের ইনিংস।
পেসার রবিউল, আর দুই স্পিনার নাইম হাসান এবং মোহাম্মদ আশরাফুল সমান ৩টি করে উইকেট পান।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বিপর্যয়ে পড়ে পূর্বাঞ্চল। ৯০ রানে খোয়া যায় ৪ উইকেট। ফিরে যান ইমরুল (৩৯), আশরাফুল (২৫), রনি তালুকদার (১২), শাহাদাত হোসেন দিপু (৫)। এ বিপদে হাল ধরেছেন তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৭৩ রানে ব্যাট করছেন তিনি।
সঙ্গে আছেন উইকেটকিপার ইরফান শুক্কুর (১৮)। তাদের দৃঢ়তায় দিন শেষে পূর্বাঞ্চলের স্কোর ৫ উইকেটে ১৯৫। ওদিকে প্রথম ইনিংসে যে দুই স্পিনার সমান ৫টি করে উইকেট পেয়ে পূর্বাঞ্চলকে ২৬০ রানে আটকে রেখেছিলেন। দক্ষিণাঞ্চলের সেই দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ আর মেহদি এরই মধ্যে সমান দুটি করে উইকেট পেয়ে আবার পূর্বাঞ্চলের ব্যাটিংয়ে আঘাত হেনেছেন।
বাঁ-হাতি ইমরুল সাজঘরে ফেরত গেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুমের বলে। আশরাফুলের উইকেট জমা পড়েছে অফস্পিনার মেহেদির পকেটে। এখন ২৬ রানে এগিয়ে থেকে কাল বুধবার শেষদিন ব্যাটিংয়ে নামবেন আফিফ আর ইরফান শুক্কুর। দেখা যাক তারা কতদুর যান?
ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চল, প্রথম ইনিংসে ২৬০/১০, (৮৬.২ ওভার) ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৯৫, ৫৩ ওভার (ইমরুল ৩৯, আশরাফুল ২৫, রনি তালুকদার ১২, শাহাদাত হোসেন দিপু ৫, আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭৩ ব্যাটিং, নাদিফ ১৭, ইরফান শুক্কুর ১৮ ব্যাটিং; নাসুম ২/৬৫ , মেহদি ২/৪৭, নাহিদুল ১/২০)।
বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল, ১ম ইনিংস: ৪২৯/১০, ১১৮.২ ওভার (এনামুল হক বিজয় ৮৮, পিনাক ঘোষ ১৬, অমিত ঘোষ ৪, তৌহিদ হৃদয় ৩, জাকির ১৫৮, নাহিদুল ইসলাম ৭, ফরহাদ রেজা ৩৮, মেহেদি হাসান ৩২, নাসুম ৫৯; নাইম হাসান ৩/১২৭, রবিউল ৩/৬৯ আশরাফুল ৩/৮২)।
এআরবি/আইএইচএস