ফাইনাল সেরার পুরস্কার হার্দিক পান্ডিয়ার

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে থাকতে রোহিত শর্মার তুরুপের তাস ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে পান্ডিয়ার অবদান কম ছিল না। সেই পান্ডিয়া যখন মুম্বাই ছেড়ে এলেন ঠিকই আইপিএলের সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন দলটির অবস্থা হয়েছে খুবই খারাপ। ১০ দলের মধ্যে দশম হয়েই বিদায় নিয়েছিল তারা।
আর হার্দিক পান্ডিয়া! নিজের নাম এবং পারফরম্যান্সকে ঠিকই বহন করে নিয়ে এলেন গুজরাটে। এবার ছিল তার নতুন দায়িত্ব। অধিনায়ক। নতুন দলের নতুন অধিনায়ক। নতুন দায়িত্ব পান্ডিয়া কিভাবে পালন করেন সেটাই ছিল দেখার।
কিন্তু নতুন দায়িত্বে ভেঙে পড়েননি তিনি। ছিলেন আরও অবিচল। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলেন তিনি এবংতার দল গুজরাট টাইটান্সই। রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো পান্ডিয়ার দল।
পুরো টুর্নামেন্টের মত ফাইনালেও তিনি দেখালেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। বল হাতে রাজস্থান রয়্যালসকে কম রানে বেধে ফেলার ক্ষেত্র পালন করেছেন সবচেয়ে বড় ভূমিকা। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৭ রান। উইকেট নিয়েছেন ৩টি। মূলতঃ সেরা তিন ব্যাটারের উইকেট নিয়ে রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন তো তিনিই।
যে জস বাটলার প্রতিপক্ষের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক, যার ব্যাট থেকে এবারের আইপিএলে একাই বেরিয়ে এসেছে ৪টি সেঞ্চুরি এবং ৪টি হাফ সেঞ্চুরি, সেই বাটলারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন পান্ডিয়া। এরপর সাঞ্জু স্যামসন এবং শিমরন হেটমায়ারের উইকেট নিয়ে গুজরাটের জয় অবশ্যম্ভাবী করে তোলেন দলটির অধিনায়ক নিজেই।
অন্যদিকে মাত্র ১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করার পর ২৩ রানের মধ্যে যখন ঋদ্ধিমান সাহা এবং ম্যাথ্যু ওয়েডের উইকেট হারিয়ে বসে গুজরাট, তখন শুভমান গিলের সঙ্গে হাল ধরেন হার্দিক পান্ডিয়াই। ৩০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন তিনি। তবে শুভমান গিলের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে গুজরাটকে শঙ্কামুক্ত করেন।
এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর জুরি বোর্ড ফাইনাল সেরার পুরস্কারের জন্য অন্য কাউকে সম্ভবত খোঁজারই প্রয়োজন মনে করেনি। অধিনায়কোচিত খেলা উপহার দিয়ে ফাইনাল সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন তিনি। ম্যারে মোস্ট ভ্যালুয়েবল অ্যাসেট এবং গেম চেঞ্জারের পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।
পুরো টুর্নামেন্টে ১৫ ম্যাচে ৪৮৭ রান করেছেন গুজরাট অধিনায়ক। ৪৪.২৭ গড়, সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৮৭। বল হাতে উইকেটও নিয়েছেন তিনি ৩টি।
আইএইচএস/