আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে লম্বা ক্যারিয়ার মুশফিকের

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পথচলা ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এর প্রায় দুই বছর পর (২২ মাস), ২০০৬ সালের নভেম্বরে অভিষেক ঘটে বাংলাদেশ দলের দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানের। মূলতঃ সাকিব-মুশফিকের যে ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পথচলা শুরু, সেদিন ওই ম্যাচ দিয়েই শর্টার ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশেরও।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বরের পর আজ পর্যন্ত কেটে গেছে, ১৫ বছর ২৭৭টি দিন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাস হয়তো এর চেয়ে ২২ মাসের বড়। কিন্তু সেই প্রথম থেকে টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু করেছিলেন যেসব ক্রিকেটার, তারা এখন আর নেই। সবাই অবসরে। কেউ কোচ হয়েছেন, কেউ ধারাভাষ্যকার, কেউ রাজনীতিবীদ কিংবা কেউ অন্য পেশায়।
কিন্তু দুই ক্রিকেটার দিব্যি এখনও খেলে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টিতে। তারা হলেন মুশফিক এবং সাকিব। এই ফরম্যাটে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে লম্বা ক্যারিয়ার বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটারের। টানা ১৫ বছর ২৭৭ দিন খেলেছেন এই দুই ক্রিকেটার।
আজ থেকে অবশ্যই এ তালিকায় সাকিব হয়ে গেলেন একা। কারণ, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিক। এশিয়া কাপে যারপরনাই বাজে পারপম্যান্সের কারণে বাংলাদেশ প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে পড়ে। হারতে হয় আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কার কাছে।
এশিয়া কাপের প্রথম রাউন্ডে হেরে দেশে আসার পরই আজ এই ফরম্যাট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন মুশফিক।
সাকিব-মুশফিকের পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে লম্বা ক্যারিয়ার ভারদের দিনেশ কার্তিকের। তার ক্যারিয়ার ১৫ বছর ২৭৩ দিনের। ২০০৬ সালে সাকিব-মুশফিকের চারদিন পরই টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ঘটেছিল কার্তিকের। মুশফিক বিদায় নিলেও থেকে গেছেন সাকিব এবং কার্তিক।
এক নজরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিম
অভিষেক: ২০০৬ সালে, খুলনায়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
শেষ ম্যাচ: ২০২২ সালে, দুবাই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
মোট ম্যাচ : ১০২টি।
রান: ১৫০০।
গড়: ১৯.৪৮।
স্ট্রাইক রেট: ১১৫.০৩।
অপরাজিত ছিলেন: ১৬ ম্যাচে।
সেঞ্চুরি: নেই।
হাফ সেঞ্চুরি: ৬টি।
সর্বোচ্চ: ৭২* (শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের বিপক্ষে)।
ছক্কা মেরেছেন: ৩৭টি।
বাউন্ডারি মেরেছেন: ১২৬টি।
ক্যাচ ধরেছেন: ৪২টি।
স্ট্যাম্পিং করেছেন: ৩০টি।
অধিনায়ক ছিলেন: ২৩ ম্যাচে।
অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন: ৮ ম্যাচ, হেরেছেন ১৪ ম্যাচ, ফল হয়নি: একটিতে।
আইএইচএস/