পাপনের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন না সাকিব

বিসিবি সভাপতি টিম হোটেলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এমন খবরে সবাই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলো, এবার নিশ্চিত একই সঙ্গে সাকিব-তামিমকে সামনে রেখে, মুখোমুখি বসিয়ে দু’জনের মধ্যে সমস্যা সমাধোনের একটা পথ বের করতে পারবেন নাজমুল হাসান পাপন।
কিন্তু সেটা আর হলো না। কারণ হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি প্রধানের বৈঠকে উপস্থিতই ছিলেন না সাকিব। তিনি তখন অপ্পো মোবাইলের বাণিজ্যিক প্রচারণার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। যদিও বিষয়টা আগেই তিনি পাপনকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছিলেন।
যেহেতু সাকিব অন্য একটা অনুষ্ঠানে ছিলেন, তাই দুজনকে একসঙ্গে করতে পারেননি বিসিবি প্রধান। আজকে তিনি দলের সাথে দেখা করতে আসলেন কিন্তু সাকিব নেই। কেন?
এ নিয়ে পাপনের ব্যাখ্যা, ‘সাকিব আমাকে ফোন করেছিল। বলেছে এয়ারপোর্ট থেকে সোজা অনুশীলনে চলে গেছে। বলেছে ওর স্যুটকেস গুছানোর আছে। ও আমাকে বলেছে, কাল কি আমি দেখা করতে পারি। আজ একটা কাজ আছে। কাল দেখা করতে চাই। কাজেই ও আমাকে বলে নিয়েছে (মিটিংয়ে না থাকার কথা)।’
তাহলে সমস্যার সমাধান হবে কি করে? এ প্রশ্নেরর জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সমস্যাটি কি তাই তো জানি না। সমস্যা জানতে পারলে পরিকল্পনা করতাম কিভাবে এগুনো যায়। এখনো আমি তাদের কাছ থেকে জানতেও চাইনি কী সমস্যা? তবে তারা দু’জনেই বলেছে খেলায় প্রভাব নেই। এতে আমার প্রথম কাজ হয়ে গেছে। এখন অনেকদিন পরে আবার তো সবাই খেলছে। আবার দেখার সুযোগ হবে।’
‘ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তামিম ছিল না। এর আগে টি-টোয়েন্টি ছিল। কাজেই ওখানটায় বোঝা যাচ্ছিল না। আমার মনে হয় কোন সমস্যা হবে না। কারণ প্রত্যেকেই পেশাদার, পরিণত। ওরা দলের ক্ষতি হবে এমন কিছু করবে না। যেহেতু কথাটা এসেছে জিনিসটা। আমাকে এত লোক প্রশ্ন করেছে। এই ভেতরে ভেতরে গুঞ্জনটা আমার ভালো লাগছিল না। এটা কিন্তু একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ সবার জন্যই। এমনকি খেলোয়াড়দের জন্য। আমি এই জিনিসটা বলে শেষ করতে চাই যে এটা শেষ। খেলায় ফিরতে চাই।’
এর নেতিবাচক প্রভাব যদি খেলায় পড়ে? পাপনের আশাবাদী উচ্চারণ, ‘এটা হচ্ছে না (খারাপ প্রভাব)। এটা হওয়ার সুযোগ নাই।’
‘আপনি বলেছেন দলে গ্রুপিং আছে। গ্রুপিং কারা করে? এ প্রশ্নের জবাব দেননি বিসিবি সভাপতি। শুধু বলেছেন, ‘এর উত্তর আমি এখন দেব না। যেহেতু একটা সিরিজ সামনে। তবে এটার উত্তর আমি দেব পরে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে পাপন খুব আশাবাদী। তার অনুভব, টিম বাংলাদেশ বেশ চাঙ্গা আছে। তার উপলব্ধি, ‘আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে জেতার জন্য সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে ভারত। এরপর হচ্ছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বাড়তি সুবিধা হচ্ছে ওরা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে চ্যাম্পিয়ন। তাদের সঙ্গে জেতা এত সহজ না; কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমাদের দল হাইলি চার্জড আপ।‘
এআরবি/আইএইচএস