মধ্যরাতে বাফুফে জানালো, সাদ উদ্দিন ৬ মাস নিষিদ্ধ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ১৬ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

চলমান ঘরোয়া ফুটবলের বেশ কয়েকটি অঘটন নিয়ে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়েছে ১৪ মে। সেই সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত গতকাল (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ করেছে। মাঝে পুরো একটা দিন চলে গেছে।

শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নেওয়া একগাদা সিদ্ধান্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিনকে ৬ মাস (অর্ধ বছর) বাফুফে আয়োজিত সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া।

তাকে এ ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে, সে আভাস কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। আবাহনীর বিপক্ষে খেলায় ম্যাচ কমিশনার সুজিত ব্যানার্জিকে ধাক্কা মারায় এমন শাস্তিই পেলেন সাদ উদ্দিন।

১৪ মে শৃঙ্খলা কমিটির সভা হওয়ার দিন থেকেই তার শাস্তি কার্যকর হবে। শাস্তি শেষ হবে ১৩ নভেম্বর। এছাড়াও এই ফুটবলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

তবে সাদ উদ্দিন তার বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিপরীতে আপিল করতে পারবেন। তিনি যদি আপিল করেন, তাহলে ওই কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে কতটা শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে।

১০ জুন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ আছে। এ ম্যাচ কি খেলতে পারবেন সাদ উদ্দিন? এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে আগে দেখা গেছে, ক্লাব ফুটবলে শাস্তি পেলে তাকে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও বাইরে রাখা হয়।

যে ম্যাচে অভিযুক্ত হয়েছেন সাদ উদ্দিন, সে ম্যাচে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন কিংসের সহকারী কোচ মাহবুব হোসেনকে রক্সি। চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে।

কিংস অ্যারেনায় সমর্থক ও সাধারণ দর্শকদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কার্যকলাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কমিটির সভায়। একাধিকবার কিংস অ্যারেনায় দর্শকদের দ্বারা শৃঙ্খলাবহির্ভূত ঘটনা ঘটায় পরবর্তী ছয়টি হোম ম্যাচ দর্শকশূন্য রাখার স্থগিত শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী ৬ মাস সেটা পর্যবেক্ষণ করবে বাফুফে। দর্শকেরা আবার শৃঙ্খলাবহির্ভূত কোনো কাজ করলে সেই শাস্তি কার্যকর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।

চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের (বিসিএল) তিন ম্যাচে রেফারি মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা বিশ্লেষণ করে শৃঙ্খলা কমিটি বিভিন্ন মেয়াদ ও ধারা অনুযায়ী শাস্তি দিয়েছে।

১১ মে ফর্টিস এফসির মাঠে সিটি ক্লাব ও বাফুফে এলিট একাডেমির ম্যাচ শেষে রেফারি জিম এম চৌধুরী নয়ন মারধরের ঘটনায় সিটি ক্লাবকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ক্লাবের গোলরক্ষক শাহ আলম ও চার ফুটবলার মাসুম মিয়া, মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলামকে এক বছরের জন্য বাফুফে আয়োজিত সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ওয়ারী ক্লাব ও ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই ক্লাবের কয়েকজন খেলোয়াড়কেও শাস্তি দিয়েছে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটি।

আরআই/এমএমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।