ঢাকায় ভাল সমাপ্তির অপেক্ষায় টাইগাররা


প্রকাশিত: ০৫:৪৪ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৪

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে বলা হয় বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট। খুলনা ও চট্টগ্রামে দুই টেস্ট আর দুই ওয়ানডের পর আবারও সেই ভেন্যুর শহরে ফিরেছে বাংলাদেশ। তাদের সাথে আছে জিম্বাবুয়েও।

এখন পর্যন্ত সিরিজের প্রাপ্তি নিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অধিকারটা দু`দলের মধ্যে কেবল বাংলাদেশেরই আছে। চলতি সিরিজে দুটি টেস্ট আর দুটি ওয়ানডের সবগুলোতেই জয়ী স্বাগতিকরাই। জিম্বাবুয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক এই সিরিজের ইতি ঘটবে এই ঢাকার মাটিতেই। এবার রাজধানীতে শেষটাও স্মরণীয় করে রাখার পালা। আর সেই স্মরণীয় করে রাখার অর্থ অবশ্যই হোয়াইটওয়াশ।

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য এতো দূর পর্যন্ত ভাবতে চাইছেন না। একদিন আগেই জানিয়ে রেখেছেন তার দলের নজর এবার স্রেফ তৃতীয় ম্যাচকে রেখে, এখনই আমরা এতোদূরের ব্যাপার নিয়ে ভাবতে চাইছি না। অবশ্যই এখন পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সকল মনোযোগ তাই সেদিকেই দিচ্ছি। ঢাকায় আগামীকাল তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের সঙ্গীহচ্ছে অনেকগুলো টুকরো টুকরো প্রাপ্তি। একদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গোটা সিরিজ জুড়ে অপরাজিত থাকার গৌরব তো আছেই, এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নিজেদের একশতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের প্রেরণা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয়টা এসেছিল ১৬ বছর আগে। সেবার ভারতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল। ১৯৯৮ সালে প্রথম জয়ের পর গত রবিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আসলো বাংলাদেশের শততম জয়। পরিসংখ্যান বলছে সাফল্যের পরিমাণটা ওয়ানডেতেই তুলনামূলকভাবে বেশি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ২৯১ ম্যাচে ৮২ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

আর সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে টেস্টে। ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীন ফরম্যাটটিতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৮৮টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৭টি ম্যাচে। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে ৪১ ম্যাচে ১১ জয়। সবচেয়ে বেশি জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ৪০টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১ জয়। কেনিয়াকে নয়বার, নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে আটবার, শ্রীলঙ্কাকে চারবার, ভারত ও স্কটল্যান্ডকে তিনবার করে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বারমুডা, ইংল্যান্ড ও হল্যান্ডকে দু`বার করে। একবার করে জয় এসেছে আফগানিন্তান, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, কানাডা, হংকং, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে।

৫০তম জয়টি এসেছিল ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্রেনাডা টেস্ট জিতে। প্রথম ৫০ জয় পেতে বাংলাদেশের লেগেছিল ১১ বছর। আর দ্বিতীয় ৫০ জয় আসতে লাগলো পাঁচ বছর। উন্নতির গ্রাফটা এখানেই স্পষ্ট। দলীয় এমন অর্জন তো আছেই। এর সাথে ব্যক্তিগত কিছু অর্জনও যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যর্থ হলেও প্রথম ওয়ানডের বোলিং পারফরম্যান্স দিয়ে র‌্যাংকিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে বোলারদের শীর্ষ দশে উঠে এসেছেন এই বোলার। ৬৩৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনি আছেন নবম অবস্থানে। সেখানে তার সঙ্গী হলেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা। বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন তিনিই। এর পরের নামটি হল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিন উইকেট পেয়ে তিনি আছেন র‌্যাংকিংয়ের ৩০তম অবস্থানে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।