খালেদার বিচার দাবি মানববন্ধনে
১৪ দলের ডাকা মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছেন নেতারা। একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের দাবিও করেছেন তারা।
মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার গাবতলী, রাসেল স্কয়ার, বসুন্ধরা সিটি, হোটেল সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, জিরো পয়েন্ট, ইত্তেফাক মোড়, হাঁটখোলা, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাকিস্তান তার সকল সীমা অতিক্রম করেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক রাখার প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের সুরে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ এবং শহীদদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন উল্লেখ করে বক্তারা তার (খালেদার) বিচার দবি করেন।
মানববন্ধনে ১৪ দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নিয়ে পাকিস্তান ও খালেদা জিয়াবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান কেউ কেউ। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিও জানানো হয়।
১৪ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তি, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবী, শ্রমিক, কৃষক, নারী, ছাত্র, যুবক, তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
গাবতলী থেকে টেকনিক্যাল হয়ে শ্যামলী পর্যন্ত এলাকায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দিয়েছেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজবাউদ্দিন সিরাজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, জাসদের শিরিন আকতার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শাহানা ফেরদৌসী লাকী, ন্যাপের জহিরুল হক, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম প্রমুখ।
শ্যামলী, কলেজ গেট, আসাদ গেট হয়ে ২৭নং সড়ক পর্যন্ত এলাকায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. আব্দুছ ছাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মির্জা আজম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আমিনুল ইসলাম গোলাপ, ন্যাপের রেনু আহম্মেদ, গণতন্ত্রী পার্টির খায়রুল, জাসদের মো. খালেদ প্রমুখ।
ধানমন্ডি ২৭নং সড়ক থেকে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত এলাকায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ন্যাপের পরিতোষ দেবনাথ, অপু উকিল, সাধনা দাস গুপ্তা প্রমুখ।
রাসেল স্কয়ার, গ্রিন রোড স্কয়ার হয়ে বসুন্ধরা মার্কেট পর্যন্ত এই এলাকায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কোষাধ্যক্ষ এইচ. এন আশিকুর রহমান, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, এস.এম কামাল হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর জমির, এ. এফ. এম ফখরুল ইসলাম মুন্সি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কমরেড এনামুল হক এমরান, ন্যাপের নজরুল মজিদ বেলাল, গণতন্ত্রী পার্টির শরাফত আলী প্রমুখ।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত এই এলাকায় নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আ. হ. ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ডা. আলাউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. আব্দুল মান্নান এমপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ তৌহিদ, ন্যাপের অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির কানন আরা এবং আওয়ামী লীগের কামাল মজুমদার এমপি, আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, পিনু খান প্রমুখ।
সোনারগাঁও হোটেল মোড়, বাংলামটর, রূপসী বাংলা হোটেল হয়ে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত এই এলাকায় নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মো. একেএম রহমত উল্লাহ, এম এ মান্নান, ন্যাপের অ্যাড. রুহুল আমিন, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. সিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের এস. এম পল্টন প্রমুখ।
শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত এলাকায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, আমিনুল ইসলাম আমিন, শ্রী সুজিত রায় নন্দী, একেএম এনামুল হক শামীম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মির্জা জলিল, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড অধ্যাপক প্রদ্যুত কুমার ফণি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মাহমুদুল হাসান মানিক, ন্যাপের নাসিমা হক, গণতন্ত্রী পার্টির কমল ঘোষ প্রমুখ।
মৎস্য ভবন থেকে প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন মোড় পর্যন্ত এই এলাকায় নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, আবুল মাল আবদুল মুহিত, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, আইন বিয়ষক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাড. আকসির এম চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের আবু হামেদ সাহাবুদ্দিন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. অসীত বরণ রায়, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টির শহীদুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
পল্টন মোড় থেকে নূর হোসেন স্কয়ার হয়ে গুলিস্তান মোড় পর্যন্ত এই এলাকায় নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আমিরুল হক আমীন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের লুৎফর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কমরেড দীপংকর সাহা দিপু, ন্যাপের অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শাহাদাৎ, জাসদের নাজমুল হক প্রধান ও মীর আক্তার হোসেন।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ার (গুলিস্তান সিনেমা হল) থেকে পার্কের মধ্য দিয়ে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত এই এলাকায় মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম , কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, আনিসুর রহমান মল্লিক, জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজিদুল ইসলাম খান, ন্যাপের আব্দুর রশিদ সরকার, গণতন্ত্রী পার্টির নূরুর রহমান সেলিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা মুকুল চৌধুরী, শাহে আলম মুরাদ, শহিদুল ইসলাম মিলন, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক শ্রী পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।
ইত্তেফাক মোড় থেকে রাজধানী মার্কেট পর্যন্ত এই এলাকায় নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, মোস্তফা ফারুখ মোহাম্মদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. সিরাজুল ইসলাম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কমরেড আব্দুল খালেক, ন্যাপের পার্থ মজুমদার, গণতন্ত্রী পার্টির মাহমুদুর রহমান বাবু, সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
রাজধানী মার্কেট থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত এই এলাকায় নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ. টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, ন্যাপের অধ্যাপক মামুন, গণতন্ত্রী পার্টির অ্যাড. শেখ আলাউদ্দিন, সাম্যবাদী দলের মোসাহিদ আহমেদ প্রমুখ।
সায়েদাবাদ থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এই এলাকায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নসরুল হামিদ বিপু, নূরুল মজিদ হুমায়ূন, হাবিবুর রহমান মোল্লা, অ্যাড. সানজিদা খানম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির তপন দত্ত, ন্যাপের তাজুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির অ্যাড. রফিক উদ্দিন, জাসদের শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
এএসএস/এনএফ/আরআইপি