বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক নারী হ্যান্ডবল
মালদ্বীপকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা

গ্যালারির এক দিকে বসা কিছু মালদ্বীপের সমর্থক। তাদের হাতে ছিল ছোট আকারের মালদ্বীপের পতাকা। পল্টন শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামের বাকি গ্যালারি জুড়ে ছিল বাংলাদেশের দর্শকদের উল্লাস আর দাপট। গ্যালারির মতোই বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি ওমেন্স (অনূর্ধ্ব-১৭) হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশের মেয়েরা।
হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৪৮-১০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মালদ্বীপকে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ২৭-৫ গোলে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৬টি গোল করেছেন অধিনায়ক মোসাম্মত মারফি। ১০টি গোল করেছেন রুনা লায়লা। দীপা রানী করেছেন ৭টি গোল। মালদ্বীপের হাওয়া বিনিথ করেন সর্বোচ্চ ৪টি গোল।
এককথায় বাংলাদেশের মেয়েদের গতির কাছেই পেরে ওঠেনি মালদ্বীপ। টেকনিক ও স্কিলেও দারুণভাবে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এসেছে এমন দুর্দান্ত জয়।
উইং দিয়ে বারবার আক্রমণে উঠেছেন রুনা, মূলত দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেছেন তিনিই। তাকে দারুণভাবে সঙ্গত দিয়েছেন মারফি। তাছাড়া গোলরক্ষক দিয়াও দুর্দান্ত খেলেছেন। পুরো ম্যাচে তিন গোলরক্ষককে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছেন কোচ।
বাংলাদেশের এই দলের মাত্র দুই জন খেলোয়াড় মারফি ও মাহি এর আগে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেছে। বাকিদের সবাই নতুন। কিন্তু আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলতে নেমে আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি ছিল না দিয়া, রুনা, সুমাইয়াদের।
দুর্দান্ত জয়ে খুশি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ ডালিয়া আক্তার, ‘যদি মেয়েরা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে তাহলে আমরা জিতব, এটাই ছিল প্রত্যাশা। মেয়েরা সেটা করে দেখিয়েছে। আজ সবাই দেখেছেন এই মেয়েরা কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিল। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে আমার রিজার্ভ বেঞ্চের মেয়েরাও মাঠে নেমে গোল পেয়েছে। সবাই গোল করতে চেয়েছে, ওরা পেয়েছে।’
আরআই/এমএমআর/এএসএম