জবি ছাত্র বহিষ্কার


প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০১৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসের নতুন বিল্ডিংয়ের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জবি শাখা পটুয়াখালী জেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান ডেভিডের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক সোহাইল মিয়ার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডেভিডকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এই ঘটনায় ২ আহত জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার পটুয়াখালী জেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জবি পটুয়াখালী ছাত্রকল্যাণের প্রধান উপদেষ্টাজিয়াউল রহমান জুয়েলকে সদরঘাটে জবি শাখা পটুয়াখালী জেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহাইল মিয়া সংগঠনের সভাপতি সহ অন্যান্যদের সদস্যদের বাদ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।  

সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান ডেভিড এর প্রতিবাদ করলে সোহাইল মিয়ার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুইজনেই একে অপরের গায়ে হাত তুলেন। পরে আহত দুইজনকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) পাঠানো হয়।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ জাগোনিউজকে বলেন, দুইজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে সোহাইলকে ডেভিড আঘাত করে। পরে প্রশাসন ডেভিডকে সময়িক বরখাস্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্তকমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন সহকারী প্রক্টর কাজী মো. নাসিরউদ্দীন ও মোস্তফা কামাল। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ।

এ প্রসঙ্গে ডেভিড বলেন, পটুয়াখালীর বিষয় নিয়ে সামান্য ঘটনা ঘটেছে। এটি বড় কিছু নয়। অন্যদিকে সোহাইল মিয়াকে  ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
 
সুব্রত মণ্ডল/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।