শিশুদের দখলে বইমেলা
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বর্ণিল মূর্চনা। রাজধানীর পুরানা পল্টন থেকে এসেছে বাঙালির প্রাণের বইমেলা অমর একুশে বইমেলায়। সকাল সাড়ে ৮টায় অংশ নিয়েছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায়। এরপর বেলা ১১টা থেকে মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখছে বইমেলায়। কিনেছেও ৩টি বই। শুধু মূর্ছনাই নয় তার মতো অনেক শিশুই আজ বইমেলায় এসেছে অভিভাবকদের সঙ্গে। বইমেলার পুরোটাই এখন কোমলমতি শিশুদের দখলে।
শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে বাংলা একাডেমির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুরু হয় ‘শিশু প্রহর’। শুরু থেকেই মেলায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুরা তাদের অভিভবাকদের সঙ্গে মেলায় আসছে। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছে। কিনছে সিসিমপুর, কার্টুন, ছড়া-কবিতাসহ বিভিন্ন রকমের বই।
বর্ণিল মূর্চনা জাগো নিউজকে জানায়, সে তিনটি বই কিনেছে। বইগুলো হচ্ছে- নানা রঙের দিন, মাটির বানানো রূপকথা এবং ভির দ্য গ্রেট রোভবয়। সে আর আরো কয়েকটি বই কিনবে বলেও জানায়।
কথা হয় বাইছা আপসরা রুম্পার সঙ্গে। রাজধানীর স্কলাস্টিকা স্কুলের ছাত্রী সে। সে কিনেছে কার্টুনের বই। মেলায় এসে ভালো লাগার কথাও বলতে ভুলেনি সে। জাগো নিউজকে বলে, আম্মুর সঙ্গে আমরা দুই ভাই-বোন মেলায় এসেছি। আমার ভাই আহনাফ নাহিয়ানও কিনেছে টাইস ওয়ান থাউজেন্ড ওয়ার্ডি ইন পিকচার কিনেছে।
তাদের মা আশরাফুন নাহার জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, অফিস থাকায় আগে মেলায় আসতে পারিনি। আজ ছুটির দিনে একটু সময় পেয়ে ওদের নিয়ে চলে আসলাম। ভালো লাগছে মেলায় এসে। বাংলা একাডেমির চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ শিশুদের জন্য শিশু প্রহর ঘোষণা ভালো উদ্যোগ বলেও জানান তিনি।
৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী কাব্য জাগো নিউজকে বলে, বইমেলায় আসবো বলে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। মেলায় এসে প্রথমে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেছি। আমি ২টি বই কিনেছে। মেলায় আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
মেলা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিবারই মেলাকে কেন্দ্র করে শিশুদের জন্য আলাদা করে প্রহর ঘোষণা করা হয়। সেই রীতি অনুযায়ী এবারেও বইমেলায় এ শিশু প্রহর।
উল্লেখ্য, এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী।
এমএইচ/এআরএস/আরএস/আরএস