ডিসকাউন্টে আইফোন কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে ডিসকাউন্ট বা অফার দিয়ে আইফোন বিক্রি করা খুব সাধারণ একটি কৌশল। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন শপ বা রিসেল মার্কেটে অনেক বিক্রেতাই অবিশ্বাস্য দামে আইফোন পাওয়ার অফার দেয়। কিন্তু এখানে লুকিয়ে থাকে নানা ধরনের প্রতারণা, ফাঁদ এবং প্রযুক্তিগত ঝুঁকি। অল্প কিছু বিষয় খেয়াল না রাখলে আপনি সহজেই বড় আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে পারেন। তাই ডিসকাউন্টে আইফোন কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিকমতো দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

আসুন কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকবেন জেনে নিন-

ডিভাইসটি রিফারবিশড কিংবা রিকন্ডিশন্ড কি না যাচাই করুন
অনেক সময় বিক্রেতারা রিফারবিশড বা রিকন্ডিশন্ড আইফোনকে নতুন বলে চালিয়ে দেয়। এ ধরনের ফোনের ভেতরের হার্ডওয়্যার আগেই মেরামত করা হয়, যেটি ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি করার সম্ভাবনা বাড়ায়। আপনি চাইলে সেটিংসে গিয়ে মডেল নম্বরে ‘এফ’, ‘এন’ বা ‘আর’ আছে কি না দেখে নিতে পারেন। সাধারণত ‘এম’ দিয়ে শুরু হলে সেটি নতুন ডিভাইস।

অ্যাক্টিভেশন লক বা আইক্লাউড লক আছে কি না দেখুন
অনেক প্রতারক চুরি করা বা লকড আইফোন ডিসকাউন্টে বিক্রি করে। আইফোন রিস্টোর করেও যদি অ্যাক্টিভেশন লক আসে, বুঝবেন ফোনটি আসল মালিকের আইক্লাউড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে বাঁধা। এই ধরনের ফোন কখনোই সম্পূর্ণ ব্যবহার করা যায় না। কেনার আগে অবশ্যই অ্যাক্টিভেট করা ফোন হাতে নিয়ে পরীক্ষা করুন।

আইএমইআই ও সিরিয়াল নম্বর মিলিয়ে নিন
ফোনের বক্সে লেখা সিরিয়াল নম্বর এবং ডিভাইস সেটিংসের সিরিয়াল নম্বর মিলছে কি না এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকসময় ভুয়া বক্স বা অন্য ফোনের বক্স দিয়ে প্রতারণা করা হয়। চাইলে অ্যাপলের অফিসিয়াল সাইটে গিয়ে ওই সিরিয়াল নম্বর দিয়ে ফোনটির ওয়ারেন্টি ও আসল স্ট্যাটাস যাচাই করে নিতে পারেন।

ডিস্কাউন্টের অজুহাতে পুরোনো ব্যাটারি দিয়ে বিক্রি করা হয়
আইফোনের ব্যাটারি হেলথ ৮৫ শতাংশের নিচে হলে দ্রুত চার্জ কমে যায় এবং ব্যবহার অভিজ্ঞতা খারাপ হয়। ডিসকাউন্টে আইফোন বিক্রির অন্যতম ফাঁদ হলো কম ব্যাটারি হেলথযুক্ত ফোন। তাই কেনার সময় ব্যাটারি হেলথ অবশ্যই চেক করুন এবং সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশের বেশি হলে নিতে চেষ্টা করুন।

ফেক ডিসপ্লে বা নন-অরিজিনাল পার্টস চেক করুন
নন-অরিজিনাল স্ক্রিনযুক্ত আইফোনে কালার একুরেসি, ব্রাইটনেস এবং টাচ রেসপন্স খারাপ হয়। অনেক বিক্রেতা স্ক্রিন পাল্টে অরিজিনাল বলে বিক্রি করে। এইফোন এক্স এবং পরবর্তী মডেলে সেটিংসে গিয়ে পার্টস অ্যান্ড সার্ভিস হিস্টোরি দেখে নেওয়া যায় যে স্ক্রিন বা ব্যাটারি পরিবর্তন করা হয়েছে কি না।

অতিরিক্ত অফার বা অস্বাভাবিক কম দাম দেখলেই সন্দেহ করুন
আইফোনের দাম কোনো সময়ই অস্বাভাবিকভাবে কম হয় না। খুব বেশি ডিসকাউন্ট সাধারণত প্রতারণারই ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, অগোছালো ওয়েবসাইট বা নতুন অনলাইন শপে অনেক জালিয়াতি হয়। তাই শুধু দাম দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন না।

বিশ্বস্ত দোকান বা অনুমোদিত রিটেইলার থেকে কেনার চেষ্টা করুন
সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো অনুমোদিত অ্যাপল রিটেইলার বা বিশ্বাসযোগ্য দোকান থেকে কেনা। এখানে আপনি পাবেন অরিজিনাল ডিভাইস,ভেরিফাইড ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা, ঝামেলাহীন রিটার্ন সুবিধা। দাম কিছুটা বেশি হলেও প্রতারণা বা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

পারফরম্যান্স টেস্ট করতে ভুলবেন না। ফোনটি হাতে নিয়ে ক্যামেরা, স্পিকার, টাচ, ফেস আইডি/টাচ আইডি, চার্জিং। ওয়াইফাই-ব্লুটুথ, সবকিছু ভালভাবে পরীক্ষা করুন। অনেকসময় ডিসকাউন্টের ফোনে এই ছোট কিন্তু জরুরি ফিচারগুলো কাজ করে না।

আরও পড়ুন
আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্সে কেন ভালো ছবি ওঠে
সবচেয়ে পাতলা আইফোন হতে যাচ্ছে আইফোন ১৭

কেএসকে/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।