সপ্তাহে ফোন কতবার সুইচ অফ করা ভালো জানেন?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৫

বর্তমানে স্মার্টফোন সবার নিত্যসঙ্গী। এক মুহূর্তও কাটে না স্মার্টফোন ছাড়া। যোগাযোগ সহজ করতে তো বটেই এখন বাড়ির বিল পরিশোধেও ভরসা স্মার্টফোন। ২৪ ঘণ্টাই স্মার্টফোনে কাজ করছেন। কিন্তু জানেন কি? স্মার্টফোনের প্রয়োজন আছে রেস্টের।

হ্যাঁ, আপনি সময় করে ফোন সচল রাখতে চার্জ দিচ্ছেন। কিন্তু ফোন সুইচ অফ করাও কিন্তু ফোনের আয়ু বাড়ায়। সপ্তাহে মাত্র এক মিনিট ফোন বন্ধ রাখা বা রিস্টার্ট করার মতো সাধারণ একটি অভ্যাস। আপনার ফোনের আয়ু অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে ভবিষ্যতে ফোনের বড় সমস্যা বা ব্যাটারি খারাপ হওয়ার ঝুঁকিও কমবে। কিন্তু কখন, কতবার ফোন সুইচ অফ করা ভালো তা জানেন কি?

ফোন ব্যবহারকারীদের উচিত অন্তত সপ্তাহে একবার তাদের স্মার্টফোন সম্পূর্ণ বন্ধ করে এক মিনিটের জন্য বিশ্রাম দেওয়া।ফোন ও এর ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফোন সুইচ অফ করা অত্যন্ত উপকারী।

ফোনকে মাঝে মাঝে বন্ধ করে রাখলে ব্যাটারির উপর চাপ কমে। ফোন সারাক্ষণ চালু থাকলে ব্যাটারিতে অতিরিক্ত গরম বা পারফরম্যান্স ড্রপ দেখা দেয়। এক মিনিটের বিশ্রাম ফোনের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশকে ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ দেয়।

স্মার্টফোনে অনেক সময় মেমোরি লিক ঘটে যেখানে অ্যাপ কিছু র‍্যাম ব্যবহার করে কিন্তু বন্ধ হওয়ার পর তা রিলিজ করে না। এর ফলে ফোন ধীরে ধীরে স্লো হয়ে যায়। সপ্তাহে একবার রিস্টার্ট করলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

পুরোনো স্মার্টফোনগুলো মাঝে মাঝে মোবাইল ডাটা বা ওয়াই-ফাই কানেকশন হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে ফোন রিস্টার্ট করলেই আবার নতুনভাবে কানেক্ট হয়। ফলে নেটওয়ার্ক সমস্যা বা ইন্টারনেট সংযোগ না পাওয়া সমস্যা মিটে যায়।

ফোন দীর্ঘদিন চালু থাকলে ক্যাশড ডাটা জমে গিয়ে ফোনকে স্লো করে দেয়। রিস্টার্ট করলে এই অপ্রয়োজনীয় ক্যাশ ডাটা মুছে যায়, ফলে ফোন দ্রুত কাজ করতে পারে।

ফোন বন্ধ না করলেও, আপনি যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপগুলো বন্ধ না করেন, তাহলে সেগুলো ব্যাটারির খরচ বাড়ায় এবং র‍্যাম দখল করে রাখে। সপ্তাহে একবার রিস্টার্টের পাশাপাশি এই অ্যাপগুলোও বন্ধ করে দিন।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।