চবি উপাচার্য
শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা, ভাইবা, প্রেজেন্টেশন নেবো
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও খাতা পুনর্মূল্যায়নের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
উপাচার্য বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আমাদের শিক্ষার্থীরা অসামান্য অবদান রেখেছেন। দেশ গড়ার এ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমরা তাদেরসহ সারাদেশের ছাত্রসমাজের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা ১৯৭১ সালে দেশ গড়ার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু তা লুটপাট, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠীর হাতে কুক্ষিগত হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বহু বছর পর ২০২৪ সালে অকুতোভয় ছাত্রসমাজ ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে আবার এক নতুন স্বাধীনতার দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তারা আমাদের সামনে বাংলাদেশ গঠনের এক অভূতপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ যদি আমরা হারাই, তাহলে জাতিকে তার চরম মূল্য দিতে হবে।
খাতা পুনর্মূল্যায়নের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও আমরা খাতা পুনর্মূল্যায়নের অধিকার নিশ্চিত করেছি। কোনো শিক্ষার্থী আমাদের কাছে সরাসরি এ দাবি জানায়নি বা এ নিয়ে মানববন্ধন করেনি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপকারের কথা বিবেচনায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ভালো শিক্ষক না হলে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থ। ভালো শিক্ষক নিয়োগ শুধু ভাইবা দিয়ে করা যায় না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে গেলেও তিন স্তরের পরীক্ষা দিতে হয়। আর আমরা নামকাওয়াস্তে একটা ভাইবা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দিচ্ছি। এ প্রক্রিয়ায় আর শিক্ষক নিয়োগ হবে না। আমরা লিখিত পরীক্ষা, ভাইবা, প্রেজেন্টেশন নেবো এবং এগুলোর রেকর্ড করবো। সব ধাপের নম্বর যোগ করে সর্বোচ্চ নম্বর যিনি পাবেন, তাকে নেবো।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ. ন. ম. আব্দুল মাবুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল খান।
সোহেল রানা/জেডএইচ/এমএস