সেশনজট থেকে ক্রমান্বয়ে মুক্তি পাবে জবি শিক্ষার্থীরা: উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জবি
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৫
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে জবি শিক্ষার্থীরা দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সবার আগে পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে সহায়ক হবে এবং শিক্ষার্থীরা ক্রমান্বয়ে সেশনজট থেকে মুক্তি পাবে।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (২০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গত শিক্ষাবর্ষের তুলনায় এবার আমরা চার মাস আগে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি, সেশনজট থেকে ক্রমান্বয়ে মুক্তি পাবে শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের সবকিছুর ঊর্ধ্বে একাডেমিক জীবনের গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, সুন্দর একাডেমিক পরিবেশে তোমরা মেধা চর্চা করে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন শিক্ষার্থীদের বলেন, কেবল ডিগ্রি বা সনদ অর্জনের লক্ষ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। তোমাদের বক্তব্য ও চিন্তাধারার প্রকাশে শালীনতা ও মাধুর্য থাকতে হবে। সমালোচনার ভাষাও হতে হবে পরিমিত ও ভদ্র, কারণ পুরো দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচরণ ও বক্তব্য লক্ষ্য করে।

অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া এবং মেন্টরসের পরিচালক ও সিইও অনিন্দ্য চৌধুরীসহ বিভাগের অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচকিউ/কেএইচকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।