বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবিসাসের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৭ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

‘সত্যের দীপ্ত সাহসে, চবিসাস তিন দশকে’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় চাকসু ভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার, প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ- উপাচর্যদ্বয়, চাকসুর প্রতিনিধি, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও ক্লাবের নেতৃবৃন্দ এবং চবিসাসের সদস্যরা।

এরপর বেলা ১০টায় মেরিন সাইন্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ শুভ্রের সঞ্চালনায় চবিসাস সভাপতি জানে আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

এতে ‘গণমুখী সাংবাদিকতার প্রত্যাশা : রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকের দায়-দায়িত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবিসাসের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেফায়েত উল্লাহ রূপক।

চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংগঠন ও ক্লাবকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। নিরপেক্ষতা ধরে রেখে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। বিগত সময়ে চবিসাস যেভাবে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়েছিল, সামনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রকে সঠিক পথে রাখার জন্য সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখে সাংবাদিকতা। বিগত সময়ে দেশকে ধ্বংস করার জন্য কিছু ফ্যাসিবাদী সাংবাদিকও জড়িত ছিল। প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, সত্য অনুসন্ধান করে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে।”

অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, চবিসাসের ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ন্যান্স অনন্য। চবিসাসের সদস্যরা বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে পরিবর্তনের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রশাসন ও সাংবাদিকের বক্তব্য যখন মিলে যায়, তখন সেটাকে আমি সাংবাদিকতা বলব না। সাংবাদিকের শুধু নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক নিউজও করতে হবে।

অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক পরিবেশ সুন্দরভাবে বিরাজ করছে। সাংবাদিকরা যেন বস্তুনিষ্ঠতার সাথে সাংবাদিকতা করেন। চবিসাসের সাংবাদিকরা জাতীয় পর্যায়েও ভালোভাবে কাজ করছে। বর্তমানের পত্রিকাগুলো বিভিন্ন করপোরেট গ্রুপগুলোর হাতে বন্দি। যে কারণে সাংবাদিকতা প্রকৃত অর্থে স্বাধীন না। চবিসাস একটা ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মতো। এখান থেকে বেরিয়ে অনেক সাংবাদিক ভালোভাবে কাজ করছে।

চবিসাস সভাপতি জানে আলম বলেন, বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে চবিসাস আজ তিন দশকে পদার্পণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর গৌরবময় শুভেচ্ছা। বিভিন্ন সমস্যা ও অসংগতির তথ্য দিয়ে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। চবিসাস সদস্যদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন নিপু, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, ছাত্র উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন ও অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট এজিএম নিয়াজ উদ্দিনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সদস্যরা।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, চাকসু ও হল সংসদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সোহেল রানা/কেএইচকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।