ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন
যৌতুকের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে তার স্বামী মোফাজ্জল হোসেন রাহাত বর্বরোচিতভাবে নির্যাতন করায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে নির্যাতনকারী ওই স্বামীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মোফাজ্জল হোসেন রাহাত ওই ছাত্রীর ওপর প্রায়ই নির্যাতন করেন। আমরা তার এ বর্বরোচিত নির্যাতনের ধিক্কার জানাই। পাশাপাশি দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী রাহাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে কলা অনুষদের ডিন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতনকারী নরপশু স্বামী রাহাতকে আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা তাকে নির্যাতন করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তাদের পক্ষে থাকবে, কারণ ক্যাম্পাসের আর কোনো ছাত্রী যেন স্বামীর নির্যাতরেন স্বীকার না হন’।
ওই ছাত্রীর বাবা নাফিদুর রহমান বলেন, ‘তাদের বিয়ের দু’মাস পর থেকেই তার স্বামী নির্যাতন করতে থাকেন। যখন যা দাবি করেছে আমি তা দেয়ার চেষ্টা করেছি। গত কয়েকদিন আগে ক্যাম্পাস থেকে তাকে ধরে নিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে প্রচণ্ড নির্যাতন চালান রাহাত। এতে আমার মেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। আমি প্রশাসনের কাছে তার পাষণ্ড স্বামীর বিচার দাবি করছি’।
উল্লেখ্য, গত তিন বছর আগে পরিবারের অজান্তে প্রেম করে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু রাহাতের পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। ফলে বিয়ের কিছুদিন পর রাহাত তার পরিবারের পক্ষ নেন। তখন থেকেই ওই ছাত্রীর ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। তাদের ঘরে বর্তমানে একটি সন্তানও রয়েছে।
একে /আরআইপি