করোনায় ঝুঁকি ভাতা পাননি অ্যাম্বুলেন্স চালক রাজু
বন্ধের দিন, মধ্য দুপুর কিংবা গভীর রাত। যখনই প্ৰয়োজন হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. রাজু হাওলাদার তখনই ছুটে যান। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও প্রয়োজনে তিনি ছুটে গেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে দেয়া হয়নি কোনো ঝুঁকি ভাতা।
রাজু হাওলাদার জানান, তিনি মূলত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত। কিন্তু ড্রাইভিংয়ে তার দক্ষতা দেখে প্রশাসন তাকে অ্যাম্বুলেন্স চালানোর লিখিত অনুমতি দেয়।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির আগে আমি ঢাকায় ৭-৮ বছর কাজ করেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছি প্রায় তিন বছর ধরে।’
ঝুঁকি ভাতার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করা হলেও তিনি ঝুঁকি ভাতা পাননি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যপারে আশাবাদী ছিলাম এবং আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু ইউজিসি থেকে যা বরাদ্দ এসেছিল সেটুকু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে দেয়ার পর আমি পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও কোনো উদ্যোগের খবর জানি না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘এ ব্যপারটা এফসিতে (ফিন্যান্সিয়াল কমিটি) উঠিয়েছিলাম কিন্তু সেটা পাশ হয়নি। এটা শুধু ফ্রন্টলাইনারদের দেয়া হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে নিজস্ব ইনকাম থেকে। সেটা তো আমাদের নেই।’
এমএইচআর/এমএস