দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষক জাবির অধ্যাপক ইব্রাহিম!

নিয়ম বহির্ভূতভাবে একই সঙ্গে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন শিক্ষকতার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে।
অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল একই সঙ্গে জাবিতে অধ্যাপনা ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা গেছে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র ও বিভিন্ন নথিপত্রের মাধ্যমে জানা যায়, অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি বিভাগটির সভাপতি হিসেবে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সভা আহ্বান, একাডেমিং কাউন্সিল সভায় অংশগ্রহণ, স্নাতকোত্তরে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খণ্ডকালীন শিক্ষকের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগের সভাপতি হওয়ার বিধান নেই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি অনুযায়ী অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন শিক্ষকতা করতে হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ছেড়ে দেননি।
জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খণ্ডকালীন শিক্ষকতার জন্য ছুটি নিয়েছিলেন অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল।
খণ্ডকালীন শিক্ষকতার জন্য ছুটি নিয়ে কিভাবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগটির সভাপতি হলেন, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে কখনও ছিলাম না। অফিসিয়ালি আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সেসময় বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন ডা. শাকিল মাহমুদ। যখন সভাপতি থাকতেন না, তখন সভাপতির অনুরোধে দায়িত্ব পালন করতাম। সেসময় আনঅফিসিয়ালি এ দায়িত্ব পালন করতাম। এরপর সভাপতির দায়িত্বে আসেন ড. ফুয়াদ হোসেন।’
একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে পূর্ণকালীন শিক্ষকতা, বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করাকে স্পষ্ট চাকরিবিধির লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এস তাসাদ্দেক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে খণ্ডকালীন কোনো শিক্ষক কোনো বিভাগের সভাপতি হতে পারেন না। তবে শিক্ষক সংকট বা নতুন বিভাগ হলে সাময়িক কোনো দায়িত্বে থাকতে পারেন। আমি রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে আসার পর দেখলাম অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিলের সভাপতি হওয়াটা নিয়মবর্হিভূত কাজ। তাই তাকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সহকারী অধ্যাপক ড. ফুয়াদকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।’
মাহবুব সরদার/এসআর/এএসএম