নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের বিজু উৎসব
বিজু উৎসব পালন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে শুরু হয়ে কলা ভবনের সামনের সরোবরে ফুল উৎসর্গ করার মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।
উৎসবের দিনে ক্লাস-পরীক্ষা ও অন্যান্য একাডেমিক সংশ্লিষ্টতার কারণে যার যার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে এ উৎসবটি পালন করতে পারছেন না। যার কারণে ক্যাম্পাসেই তারা এ উৎসবটি ছোট পরিসরে উদযাপন করেন।
এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাসুদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সেশনের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রবীণ ত্রিপুরা বলেন, এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চেয়েছি। প্রতিটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষেরও ভিন্নভিন্ন উৎসব, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা এবং জীবন ব্যবস্থা রয়েছে তা জানান দিতে চাই। আমাদের সংস্কৃতির উৎসবটি ক্যাম্পাসে উদযাপন করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি এ রকম উৎসব ও আয়োজনগুলো মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করবে।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী চাকমা বলেন, আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা দিনটিকে উৎসবমুখর করে তোলার জন্য ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা ও ফুল বিজু উদযাপন করেছি।
প্রতি বছর এপ্রিলের ১১-১৬ তারিখ পর্যন্ত আদিবাসীরা নিজেদের সংস্কৃতির রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানান। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এ উৎসবকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকে। ত্রিপুরাদের ক্ষেত্রে এর নাম বৈসু, চাকমারা ডাকে বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ম্রোরা চাংক্রাণ এবং তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু।
আহসান হাবীব/আরএইচ/এএসএম