‘যারা দুর্নীতি করে তারাই আবার মিটিংয়ে বড় বড় কথা বলে’
যারা দুর্নীতি করে তারাই আবার বিভিন্ন মিটিংয়ে বড় বড় কথা বলে। যারা দুর্নীতি করছে না তাদেরই সমাজ থেকে আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি আমাদের মজ্জাগত হয়ে গেছে। সবাই এমনভাবে দুর্নীতিকে নিচ্ছে, আমার ওপরে যে থাকবে সেও কিছু খাবে (দুর্নীতি) আমাকেও কিছু দেবে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) শেকৃবি ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপ আয়োজিত তথ্য অধিকার আইন ২০০৯, বাস্তবায়নে তরুণদের ভূমিকা শীর্ষক সভায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সবদিকেই অনেক উন্নতি করেছি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। কিন্তু দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে বেশি এগোতে পারেনি। একইসঙ্গে মানবিক মূল্যবোধের দিক থেকেও তলানিতে পৌঁছেছি। উন্নয়ন ও মানবিক মূল্যবোধের বিষয়টি এত বৈপরীত্য এটা আগে ভাবিনি। মানবিক মূল্যবোধ কমার জন্যই দুর্নীতি বাড়ছে। কীভাবে দুর্নীতি কমিয়ে এবং মানবিক মূল্যবোধ বাড়িয়ে কাছাকাছি আনা যায় সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।
‘এক যুগ ধরে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। কিছুটা লাভ করেছি তবে আরও অনেক দূর যেতে হবে। যদিও এই যাত্রাপথ সহজ নয়। কারণ মানুষের অনৈতিকভাবে নানা রকম অর্থ উপার্জন, দুর্নীতি করে কর্ম সম্পাদন করার যে ব্যবস্থা সেটি সাধারণভাবে বিরাজ করছে। এটাকে ন্যূনতম অপরাধও মনে করছে তারা।’
উপাচার্য বলেন, মানুষ হিসেবে আমাদের একটিই জীবন। এই জীবনেই পুণ্য, ভালো-মন্দ যা করার করে যেতে হবে। জীবনকে অর্থপূর্ণ করা দরকার যেন আমি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ নাগরিক হতে পারি। বুদ্ধি আছে, বিবেক আছে সবকিছু খাঁটিয়েই দুর্নীতিকে না বলা দরকার। আগামী দিনের তরুণদের নিয়ে যে বাংলাদেশ হবে সেখানে সততা না থাকলে অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। শুধু অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নেই দেশ উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, প্রক্টর ড. মো. হারুন-উর-রশীদ, ট্রানপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সিভিক এনগেজমেন্টের পরিচালক ফারহানা ফেরদাউস।
বক্তব্য শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ইয়েস গ্রুপের সদস্য ও উপস্থিত সবাইকে দুর্নীতি বিরোধী শপথ পাঠ করান। অনুষ্ঠান শেষে ফারহানা ফেরদাউসের বক্তব্যে শেকৃবি ইয়েস গ্রুপের নতুন দলনেতা ও সহকারী দলনেতার নাম ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তী এক বছরের জন্যে শেকৃবি ইয়েস গ্রুপের দলনেতা হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী দলনেতা (পুরুষ) আল মোন্তাকিম মাহাদি নোমান এবং সহকারী দলনেতা (নারী) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তানজিনা আক্তার।
তাসনিম আহমেদ তানিম/এমআরএম/জেআইএম