চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সংঘর্ষ এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আট ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপগুলো হলো বিজয়, সিএফসি ও সিক্সটি নাইন। এরমধ্যে বিজয় ও সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিক্সটি নাইন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে চলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। দেশীয় অস্ত্রসহ অনেক ছাত্রলীগকর্মীকে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে চবি ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনতলায় সিক্সটি নাইনের এক কর্মীর সঙ্গে সিএফসির এক কর্মীর বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়, যা একপর্যায়ে রূপ নেয় সংঘর্ষে। সিএফসিকে সমর্থন দেয় বিজয় গ্রুপ। এতে সংঘর্ষ ত্রিমুখীতে রূপ নেয়।

jagonews24

পরে প্রশাসন ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় সিএফসি ও সিক্সটি নাইন। পূর্বের ঘটনার জেরে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে।

বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম সবুজ বলেন, সিক্সটি নাইন আর সিএফসি গ্রুপের ঝামেলায় বিনা কারণে আমাদের ছেলেকে মারধর করা হয়। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে সিক্সটি নাইন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার মূল ক্যাম্পাসে চারুকলা শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদাফ খান বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি।

jagonews24

সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, শিক্ষাঙ্গন অস্থিতিশীল করার এখতিয়ার কারো নেই। কে কোন গ্রুপ করে তা না দেখে কারা ছোট ছোট বিষয়কে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায় সেটি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি।

আরও পড়ুন: অনিশ্চয়তা নিয়ে হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশ বলেন, প্রথম সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পুলিশের সহায়তায় সব ছাত্রলীগকর্মীকে হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রাতের দিকে তারা আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ক্লাস কার্যক্রমও চলছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।