বরিশালে সবজি-মুরগিতে স্বস্তি, বাড়তি মাছের দাম

ঈদের পর থেকে বরিশালে কয়েকদিন ধরেই সবজি ও মুরগির মাংসের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে আগের তুলনায় বেড়েছে মাছের দাম।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার, সাগরদী বাজার, নতুন বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ও সবজির আড়ত ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা গত সপ্তাহ থেকে পাইকারি বাজারে ২৫-৩০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বরবটি ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা, পটল ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজিও গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বেগুন প্রকার ভেদে ৩০-৩৫ টাকা, ঢেড়স ৩০-৪০ টাকা, লাউ আকার ভেদে ২০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ২৫-৪০ টাকা ও লেবুর হালি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাছের দাম। এর মধ্যে রুই মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ২০০-৪০০ টাকায়। এছাড়া টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, পাঙাস মাছ ১২০-১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫৫০-৮৫০ টাকা, পাবদা ২৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের তুলনায় ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বেশি।
বরিশালে সবজির পাইকারি বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেটের দুলাল বানিজ্যালয়ের মালিক মো. শুভ জাগো নিউজকে জানান, ঈদের আগে থেকেই সবজির দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ৫-১০ টাকা কমছে-বাড়ছে। মাঝে মাঝে অপরিবর্তিত থাকছে। তবে সবজি পাইকারি বাজারে খুচরা বাজারের তুলনায় কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধীকারী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শাওন খান/এমএন/জিকেএস