কাদাপানির সড়কে হাঁটা-চলা দায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার নেই। একটু বৃষ্টি হলেই সড়ক যেন হয়ে ওঠে কাদামাটির ভাগাড়। এতে চলাচল করা দায় হয়ে ওঠে। মাদারীপুর সদরের পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর পাঁচখোলা গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্বাস মাতুব্বরের বাড়ির সেতু থেকে ইতালি ব্রিকস পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের চিত্র এটি। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ মানুষ চলাচল করে। সড়কটির বিভিন্ন অংশে কাদা ও পানিতে ভরা। একটু বৃষ্টি হলেই এই পথ দিয়ে চলাচল করতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। ওই এলাকার একমাত্র সড়ক হওয়ায় হাজার সমস্যার মধ্য দিয়েই চলতে হচ্ছে।

কাদাপানির সড়কে হাঁটা-চলা দায়

স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এই সড়কটি সংস্কার করতে একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এরপর স্থানীয় মিলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এতে অর্থের অভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তাই এই সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়রা গত ১৯ আগস্ট সড়কের পাশে মানববন্ধন করেছেন।

স্থানীয় সজিব হোসেন বলেন, এই সড়কটি দিয়ে আমাদের প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। কাদাপানি ও গর্তের কারণে এমন অবস্থা হয়েছে যে হাঁটাই মুশকিল। তাই এটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সাবিনা বেগম বলেন, আমরা কেউ অসুস্থ হলে এই পথ দিয়ে যেতে খুব সমস্যা হয়। কারণ এটাই আমাদের একমাত্র পথ। এই পথ দিয়েই হাসপাতালে যেতে হয়। তাই প্রতিদিন চলাচলাকারী প্রায় ৫০০-৬০০ পরিবারের এই সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই।

কাদাপানির সড়কে হাঁটা-চলা দায়

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, সড়কটির কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। খুবই নাজুক অবস্থা। উপজেলা পরিষদ কিংবা উপজেলা এলজিইডির মাধ্যমে সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলজিইডির মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্তনিয়া বলেন, বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। কোনো প্রকল্পও হাতে নেই। সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর সড়কটি সংস্কার করা হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।