পিরোজপুর পৌরসভা

ড্রেনতো নয় যেন ময়লার ভাগাড়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ময়লা-আবর্জনায় একাকার হয়ে আছে ড্রেন/ছবি-জাগো নিউজ

পিরোজপুর পৌরসভার ড্রেনগুলোর অবস্থা বেহাল। ময়লা-আবর্জনায় একাকার। পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ড্রেনের পানিতে বংশ বিস্তার করেছে মশা। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। ফলে ডেঙ্গু আতঙ্কে দিন পার করছেন পৌরবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ না থাকায় পৌরসভার বেশিরভাগ খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। যত্রতত্র স্থাপনা হওয়ায় একদিকে যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতি, অন্যদিকে পানির গতি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল। ফলে পৌরসভায় বেড়েছে জলাবদ্ধতা। পাশাপাশি ড্রেনগুলোকে ময়লার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করায় শহরের বেশিরভাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে পৌরসভার খাল ও ড্রেনগুলো যেন পরিণত হয়েছে মশা আর রোগ-জীবাণুর কারখানায়।

ড্রেনতো নয় যেন ময়লার ভাগাড়

‎‎পৌরসভায় খাল রয়েছে ৪২টি। আর ৬০ কিলোমিটার ড্রেন দখল ও ময়লা-আবর্জনার কারণে তেমন নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। সম্প্রতি ‌‘ভাড়ানি’ নামে একটি খাল স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে খনন ও দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হলেও বাকি খালগুলো এখনো বেদখল। ফলে খালগুলোতে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ হয়ে সেগুলো ছোট ড্রেন বা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে।

পিরোজপুর শহরের মাতৃসদন সড়ক, উকিলপাড়া, মধ্যরাস্তা, শিক্ষা অফিস সড়ক, কালিবাড়ি সড়কসহ বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার ড্রেনগুলো ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। সঠিক সময়ে পরিষ্কার না করা এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বৃষ্টির পানি ড্রেনগুলোতে জমে থাকছে। এতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বংশবিস্তার করছে মশা।

স্থানীয় মাদরাসা শিক্ষক হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমানে মশা অনেক বেড়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই শহরের ড্রেনগুলোতে পানি জমে থাকে। সেই পানিতে মশা বংশবিস্তার করছে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি না থাকায় এগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এ কারণে মশা বাড়ছে।’

ড্রেনতো নয় যেন ময়লার ভাগাড়

পৌর শহরের বাসিন্দা লোকমান শেখ বলেন, ‘পিরোজপুর পৌরসভার ট্রেনগুলোর অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। প্রতিটা ড্রেন ময়লা- আবর্জনা ভরে রয়েছে। ড্রেনে জমে থাকা পানির দিকে তাকালে শুধু মশা দেখা যায়। মশা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, দিনের বেলায় মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হয়।’

গৃহিণী শারমিন আক্তার বলেন, ‘সন্ধ্যা হলে মশার যন্ত্রণায় ঘরে থাকা যায় না। সব সময় বিছানায় মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়। কর্তৃপক্ষের সঠিক উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন শহরে মশা বাড়ছে।’

এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বনিক বলেন, মশা নিধনে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে করাসহ ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মো. তরিকুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।