সাতক্ষীরায় দুর্ধর্ষ চুরি, ৬৫ ভরি গহনাসহ নগদ টাকা লুট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫
সাতক্ষীরায় বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা লুট

সাতক্ষীরা শহরের কাঠিয়া কর্মকার পাড়ার গৌতম চন্দ্র নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।

গৌতম চন্দ্র সাতক্ষীরা শহরের কাঠিয়া কর্মকারপাড়া এলাকার মৃত দেবেন চন্দ্রের ছেলে।

গৌতম চন্দ্রের বড় শ্যালক গৌর দত্ত বলেন, সাতক্ষীরা শহরের কাঠিয়ার কর্মকারপাড়া সর্বজনীন পূজা মন্দিরের প্রধান ফটকের ঠিক বিপরীতে রাস্তার ধারে গৌতম চন্দ্রের বাসা। বাড়িটি চারদিক দিয়ে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গৌতমের পরিবারের সদস্যরা সবাই ঘরে তালা দিয়ে মন্দিরে পূজা দেখতে যান। পরে রাত সোয়া ৭টার দিকে গৌতম চন্দ্র বাড়িতে পৌঁছে দেখেন গেটের তালা ভাঙা। ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখেন আলমারির তালা ভেঙে সবকিছু অগোছালো করে রাখা। যে সিন্দুকের ভেতরে স্বর্ণালংকার ছিল সেটাও খোলা। 

আরও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় হাসপাতালে পড়ে আছে ২ নারীর মরদেহ, খোঁজ মেলেনি পরিবারের
সংযোগ হারিয়ে অচল সাতক্ষীরার নদীপথ

তিনি বলেন, আমার বোনের মেয়ের শ্বশুর বাড়ি লক্ষ্মীপুর। বাচ্চা হওয়ার জন্য মাসখানেক আগে সে বাবার বাড়ি আসে। শনিবার সকালে তার শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়ার কথা ছিল। সিন্দুকের ভেতরে বোন এবং ভাগনির স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৬৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন ধরনের গহনা ছিল। এছাড়া আলমারিতে নগদ এক লাখ চার হাজার টাকা ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ও র‍্যাবের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতে আমিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আহসানুর রহমান রাজীব/এনএইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।