খানাখন্দে ভরা নেত্রকোনা-সিধলী সড়ক, সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫

নেত্রকোনার মেদনী-সিধলী সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, নেত্রকোনার রাজু বাজার থেকে সিধলি বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক ব্যবহারকারী হাজারো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কে অন্তত ২৫টি স্থানে বড় গর্তে বর্ষার পানি জমে প্রায় দুই ফুট গভীরতা সৃষ্টি হওয়ায় এটি এখন মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সড়কটির বড় অংশ নেত্রকোনা পৌরসভা, মেদনী ইউনিয়ন ও কলিয়ারা-গাবরাগাতি ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে গেলেও এটি কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নেরও একমাত্র ভরসা। কয়েক হাজার মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করেন। পর্যটনকেন্দ্র দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা যেতেও সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগে সিধলি বাজার থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী ১৫টি বাস নিয়মিত চলাচল করত। কিন্তু এখন অসংখ্য গর্তে ভরা সড়কটিতে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় মানুষ বিকল্প পথে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, তিনবছর ধরে সড়কটি খানাখন্দে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ায় এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি সীমান্তের দুই উপজেলা কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের উপজেলা আঞ্চলিক সড়কের বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ সড়কে যাতায়াতকারী মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মানববন্ধনে নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার অলি উল্লাহ, চন্দ্রনাথ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট রুবিনা নাসরিন, শিক্ষক কনক পণ্ডিত, জামিয়া মিফতাহুল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মুফতি মোহাম্মদ তাহের কাশেমী, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কুদ্দুস, সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, শেখ মনোয়ার হাসান, সিধলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাখাওয়াত হোসেন, নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

জানতে চাইলে নেত্রকোনা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২ কিলোমিটার মেরামত করা হয়েছে। বাকি অংশের জন্য আরটিআইপি-৩ প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে। এটি বড় প্রকল্প, সীমিত বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। আমরা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছি।’

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘বিষয়টি আগামী জেলা সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হবে। দ্রুত মেরামতের জন্য এলজিইডি প্রকৌশলীদের সঙ্গে কাজ করা হবে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে প্রকল্পটি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারকি করব।’

এইচ এম কামাল/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।