ফরিদপুরে রাতভর ইলিশ মেলায় মানুষের ঢল
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগের রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাতভর চলেছে ইলিশ মেলা। মেলা ঘিরে ইলিশ কিনতে ভাঙ্গাসহ আশপাশের কয়েক উপজেলার হাজারো মানুষ সেখানে ভিড় জমায়।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত পৌরসভার হাসামদিয়া ফ্লাইওভারের নিচে বসে এ মেলা।

স্থানীয় ও আড়তদার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে ইলিশ শিকার, সংরক্ষণ ও পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। তাই প্রতিবছরের মতো এবারও নিষেধাজ্ঞার আগমুহূর্তে ইলিশের মেলা বসে। স্থানীয় ছাড়াও আশপাশের লোকজন ইলিশ কিনতে জড়ো হন মেলায়। বাজারের তুলনায় এখানে মাছের দাম কিছুটা কম হওয়ায় পছন্দের ইলিশ কিনে খুশি ক্রেতারা।
তবে তুলনামূলক এবার ইলিশের আমদানি কম হলেও দাম খুব একটা বাড়েনি। মেলায় ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, আর ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।
আরও পড়ুন-
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু, তীরে ফিরেছেন ভোলার জেলেরা
শেষ সময়েও ইলিশের দামে হতাশ ক্রেতারা
সাড়ে ৩ কেজির ইলিশ নিলামে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি

সোহাগ মাতুব্বর নামের এক ক্রেতা বলেন, প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার আগের রাতে এ মেলা বসে। প্রায় মাস খানেক বেচাকেনা বন্ধ থাকবে। তাই কম দামে মাছ কিনতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। দাম কমের কারণে পরিবারের জন্য বেশ কয়েক কেজি ইলিশ মাছ কিনে রেখেছি।
আরেক ক্রেতা মান্নান মাতুব্বর বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় এ মেলা। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। অনেকের মতো বেশ কয়েক কেজি কিনে রাখলাম। বাজারের চেয়ে একশো থেকে দুইশো টাকা কম দামে বিক্রি হয়েছে রুপালি ইলিশ।
মাছ ব্যবসায়ী রুস্তম আলী বলেন, প্রতি বছর একবারই এই ইলিশ মেলা বসে। মেলায় রাতভর চলে রুপালি ইলিশের বেচাকেনা। এবার এক রাতের এ মেলায় অন্তত ৮০ থেকে ১০০ টন ইলিশ কেনাবেচা হয়েছে। মাছের আমদানি থেকে ক্রেতার সংখ্যা বেশি ছিল।

ভাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে সারা দেশে ইলিশ শিকার, সংরক্ষণ ও পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকায় শেষ দিনে বসে ইলিশ মাছের মেলা।
এন কে বি নয়ন/এফএ/এএসএম