ট্রেনচালক সিগন্যাল না মানায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লাইনচ্যুত হয় উদয়ন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিলেট
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
উল্টে পড়ে উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ চারটি বগি

সিলেটের মোগলাবাজারে সিগন্যাল (সংকেত) না মানার কারণে লুপ লাইনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইঞ্জিনসহ চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে উদয়ন এক্সপ্রেসের। এতে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা।

দুর্ঘটনায় হতাহত খুব বেশি না হলেও চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দুজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে মোগলাবাজার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সিলেট ও মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে কালনী এক্সপ্রেস সিলেট স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেসকে মোগলাবাজারে ক্রসিং করার কথা ছিল। সেই আলোকে ট্রেনটি মোগলাবাজারের কাছাকাছি অবস্থান নেয়। এসময় সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেসকে মোগলাবাজারে রেল ক্রসিংয়ের জন্য থামার সিগন্যাল দেওয়া হয়। কিন্তু চালক সিগন্যাল না মেনে লুপ লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ইঞ্জিন ও তিনটি বগি উল্টে লাইনচ্যুত হয়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন:
সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
উদয়ন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ

মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কালনী এক্সপ্রেস ক্রসিংয়ের সময় উদয়নের চালককে থামার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। কিন্তু চালক সিগন্যাল না মেনে সামনে চলে যান। এতে ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর মোগলাবাজার স্টেশন এলাকায় আটকে থাকা কালনী এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। পরে উদয়নের অবশিষ্ট বগিগুলো সিলেট স্টেশনে পৌঁছানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। বেলা ১টার দিকে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস সিলেট থেকে ছেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলামকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন চারটি বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় চালকসহ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, রাঙামাটি জেলার নলজুপ থানার আমতলীপাড়া জাকির আলমের ছেলে জুনাইদ (২০) ও নোয়াখালি জেলার মাইজদি থানার চাউবানো গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ (৩২)।

সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ইঞ্জিনসহ চারটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার চার ঘণ্টা পর প্রথমে আটকে থাকা কালনী এক্সপ্রেস ঢাকার ছেড়ে গেছে। এরপর আটকে থাকা সবকটি ট্রেন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। সর্বশেষ ১টার সময় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসও সিলেট থেকে ছেড়ে গেছে।

আহমেদ জামিল/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।