রাস্তার পাশে যুবলীগ নেতার হাত-পা বাঁধা মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী
প্রকাশিত: ০২:২৫ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৮

নরসিংদীতে মাহমুদুল হাসান সৈকত (৩৩) নামে এক যুবলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শিবপুর উপজেলার ঢাকা-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কের পাশে পুরানদিয়া জামতলা এলাকা থেকে ওই নেতার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সৈকত নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শীলমান্দি এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে এবং শীলমান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ঝুট ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। এদিকে নিহত সৈকতের ঘনিষ্টবন্ধু সুজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সৈকতকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত সৈকত সোমবার দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাসায় ফেরেনি। মোবাইল ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার সকালে শিবপুরে সড়কের পাশে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরে পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা মরদেহ পরিচয় শনাক্ত করেন।

এদিকে নিখোঁজ সুজনের ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, সৈকত ভাই ও আমার বড় ভাই সুজন ঘনিষ্ট বন্ধু। গত ৪/৫দিন আগে ব্যবসায়ীক লেনদেনকে ঘিরে সৈকত ও সুজন ভাইরে সঙ্গে কয়েকজনের দ্বন্দ্ব হয়। তারা বাড়িতে এসে আমার ভাইসহ সৈকত ভাইকে নানা রকম হুমকি দিয়ে ছিল। গত কয়েকদিন আগে সুজন ভাইকে তারা জোর পূর্বক ধরে নিয়ে যায়। একদিন পর ফিরে আসলেও এবার আর ফিরে আসেনি। আমাদের ধারণা তারাই সৈকত ভাইকে হত্যা করেছে। সুজন ভাইয়ের কি হয়েছে তা এখনও জানি না।

শিবপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতে অথবা ভোরের যেকোন সময় তাকে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় মরদেহের দুই হাত পেছন দিক থেকে বাঁধা ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সঞ্জিত সাহা/আরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।