রুটি বিক্রি নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ ১০ জন টেঁটাবিদ্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৮

নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী টেঁটাযুদ্ধ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

একইসঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় রসুলপুর বাজারে রুটি বিক্রি করা নিয়ে আবুল ও কাওসার নামে দুই ব্যবসায়ীর ঝগড়া হয়।

এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর ও মমিন নামে দুই গ্রুপ দ্বন্দ্বে জড়ায়। এরই জেরে রোববার দুপুরের দিকে দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই নারীসহ ১০ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ১৫টি বাড়িঘর। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে আব্দুর রউফ (৪৫), সুমন মিয়া (২০), ইসমাইল মিয়া (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (২২) সাইদুল ইসলাম (১৮), রুবেল মিয়া (২৫), আরিফ মিয়া (২০), মাফিয়া বেগম (৫০), মর্জিনা বেগমকে (৩৫) নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর রহমান মিয়া (৩২) ও একরাম মিয়া (২৫) নামে দুইজনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রসুলপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আশরাফ উদ্দিন বলেন, পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে মমিন গ্রুপ আমার এবং আমার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। মমিন মিয়া এলাকায় নিজের একক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। কিন্তু গ্রামবাসী তার এই একক আধিপত্য মানতে চায় না। তাই তিনি গ্রামে একের পর এক ঝগড়া সৃষ্টি করে চলেছেন। আজ আমার লোকজনদের ওপর এ বর্বর হামলা চালিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে মমিন মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাফফর হোসেন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে টঁটাযুদ্ধ সংগঠিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সঞ্জিত সাহা/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।