শ্রমিককে রড দিয়ে পেটালেন পুলিশ সার্জেন্ট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ১৮ মে ২০১৯

যশোর-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক পুনর্নির্মাণ কাজ করার সময়ে শ্রমিককে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করেছেন হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা। শনিবার যশোর সদর উপজেলার সন্যাসী দীঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই কর্মীর নাম সিরাজুল ইসলাম (২৫)। তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডে সিগন্যালম্যান হিসেবে কাজ করেন। আহত অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সিরাজুল যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকার বাসিন্দা।

শ্রমিককে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে মারধর করা ওই পুলিশ সদস্যের নাম পলিটন মিয়া। তিনি হাইওয়ে পুলিশের যশোরের নাভারণ সার্কেলের সার্জেন্ট পদে কর্মরত আছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক পুনর্নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা সড়কের ওপর স্কেভেটর যন্ত্র আড় করে দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকেরা।

Jashore-police-marpi

স্থানীয়রা জানান, যশোর শহরের সন্ন্যাসী দীঘিরপাড় এলাকায় সড়কের একপাশে স্কেভেটর দিয়ে সড়ক খুঁড়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। অন্যপাশ দিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। একপাশে যানবাহন আটকে অন্যপাশের যানবাহন ওই অংশ দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।

এ সময় একটি প্রাইভেটকার থামানোর সংকেত দিলে গাড়ির ভেতর থেকে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে গাড়ির ভেতরে থাকা লোহার রড দিয়ে তাকে পেটাতে থাকেন। পুলিশের লোক বুঝতে পেরে শ্রমিকদের অন্যরা ভয়ে এগিয়ে আসতে সাহস করেননি। এ সময় গাড়ি নিয়ে তিনি দ্রুত চলে যান। পরে শ্রমিকেরা ওই কাজ বন্ধ করে বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দীন শিকদার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট পলিটন মিয়া বলেন, ওই ছেলেটির হাতে একটা লাঠি ছিল। গাড়ি থামানোর সংকেত দিয়ে ওই লাঠি দিয়ে আমার গাড়িতে আঘাত করে। এরপর আমিও তাকে লাঠি দিয়ে দুইটা বাড়ি দিয়েছি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টির মীমাংসাও হয়ে গেছে।

মিলন রহমান/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।