প্রবাসীদের প্রতি ম্যাজিস্ট্রেটের বিনীত অনুরোধ, বিপদে ফেলবেন না
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় দুই ব্যক্তিকে ১৫ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে শহরের সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটের সামনে ঢাকা খেলাঘরের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে দোকান করছিলেন।
বিদেশ থেকে দেশে ফিরে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া এবং বাইরে ঘোরাঘুরি করায় আরেক ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি মুন্সিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এ জরিমানা আদায় করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে ১৫ মার্চ দেশে আসেন এক ব্যক্তি। হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে দোকান করায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরেকজন দেশে ফিরে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া এবং এলাকায় ঘোরাঘুরি করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা যারা বিদেশফেরত রয়েছেন তারা দয়া করে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলুন। আপনার কারণে পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে- এটা নিশ্চয়ই আপনি চান না। বিপদে ফেলবেন না। অন্যথায় কঠোর আইন প্রয়োগ করব।
প্রশাসন সূত্র জানায়, নীলফামারীতে নতুন করে বিদেশফেরত ১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ২০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৬০ জনের। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
জেলা কন্ট্রোল রুমের সূত্রমতে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেলায় বিদেশফেরতের সংখ্যা ২৬৩ জন। তবে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২০৩ ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। গত চারদিনে হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় চার ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি। স্বাস্থ্য বিভাগ জনসচেতনতার কাজ অব্যাহত রেখেছে। জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের ১৪টি কক্ষে ৫৮টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জাহিদুল/এএম/পিআর