৭৯ দিন পর বাংলাবান্ধায় আমদানি-রফতানি শুরু
দীর্ঘ ৭৯ দিন বন্ধ থাকার পর ১৩ শর্তে বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে ভারত থেকে পাথরবোঝাই ট্রাক প্রবেশের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমদিন ভারত ও ভুটান থেকে বাংলাবান্ধা দিয়ে পাথর আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্য রফতানি হয়নি এদিন। শনিবার ভুটান থেকে ৫৭টি এবং ভারত থেকে সাতটিসহ মোট ৬৪টি গাড়ি বাংলাবান্ধায় পাথর নিয়ে প্রবেশ করে।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানাসহ প্রশাসন আরোপিত শর্তগুলোর মানা হচ্ছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায় মনিটরিং কমিটিকে। বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে বিদেশি গাড়িচালকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপাসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে পণ্যবাহী গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সম্মেলন কক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও আমদানি-রফতানিকারকদের এক জরুরি সভায় স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ ১৩ শর্তে বন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত হয়।
১৩টি শর্তে বলা হয়, বিদেশি গাড়ি চালকদের বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার জিরো পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন করতে হবে এবং বন্দরে প্রবেশের পূর্বেই তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে। বিদেশি পণ্যবাহী যানগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। চালকরা বন্দরে প্রবেশ থেকে বাংলাদেশ ত্যাগ করা পর্যন্ত খুব প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি থেকে নামতে পারবে না। তাদের জন্য আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রতিদিন মালামাল খালি করার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের ফেরত যেতে হবে। কোনো অবস্থায়ই রাতযাপন করা যাবে না। বিদেশি গাড়িচালকদের সঙ্গে শ্রমিকরা মেলামেশা করতে পারবে না। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সামগ্রী পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা দেবেন। পণ্য আমদানি-রফতানির সময় কেপিআইভুক্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় কার্ড ছাড়া বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। বন্দরের নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য মনিটরিং কমিটি থাকবে।
সফিকুল আলম/এএম/এমকেএইচ